১০০টা মেয়েকে জিজ্ঞেস করেন, সবাই বলবে বট আইডি মানে শিবিরের আইডি : মেঘলা
কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা মনে করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকে মেয়েই জানে বট আইডি মানেই শিবিরের আইডি।
আরও পড়ুন
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এখানে ১০০ মেয়েকে জিজ্ঞেস করেন, সবাই বলবে বট আইডি মানেই শিবিরের আইডি, এবং তারা যেসব কর্মকাণ্ড করে- তারা যখন ফুলের মালা দিয়ে একজন দাগি আসামিকে নিয়ে আসে। সেই বাংলাদেশে তো তাদের অস্তিত্ব থাকতে পারে না, থাকারই কথা নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় তো নয়ই। আমার যখন প্রাত্যাহিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়, এখানে আমার মতো বাকিদেরও একই অবস্থা।
ডাকসুর মতো জায়গায় তারা কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে- সেটাই প্রশ্ন।
নারী শিক্ষার্থী হয়রানি প্রতিরোধে ছাত্রদল কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে মেঘলা বলেন, আমাদের প্যানেলের দিকে দেখলেই বুঝবেন আমরা সব সময়ই এসব কাজ যারা করছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছি।
আমরা বারবার প্রশাসনকে এসব বিষয় নিয়ে অবহিত করছি, কিন্তু তাদের মধ্যে এসব নিয়ে কোনো তৎপরতা দেখতে পাইনি। গত ৬ মাসে এসব নিয়ে আমরা প্রোক্টর স্যারের কাছে গিয়েছি, কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।
ছাত্রদলের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক আরো বলেন, জাতীয়তাবাদ বুকে ধারণ করে বাংলাদেশে বর্তমানে স্থিতিশীলতার রাজনীতি প্রয়োজন, কারণ বাংলাদেশ আফগানিস্তান হোক চাচ্ছি না, ভারত হোক চাচ্ছি না। বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতোই থাকুক।
নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই পরিবর্তনটাই আনতে চাচ্ছেন জানিয়ে মেঘলা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় মেয়েরা যেন নিরাপদে থাকতে পারে এটাই আমি চাই। আমার প্রাথমিক ইশতিহারে এটা উল্লেখ আছে।
আমার যেহেতু অভিজ্ঞতা আছে, সেহেতু আমি এই পরিবর্তনটা আনতে পারবো। আমি যেহেতু ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক, স্টুডেন্টদের নিয়ে কাজ করা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। মহিলা পরিষদ করে এসেছি, শিশু একাডেমি করে এসেছি,জাতি সংঘের প্রোজেক্টগুলোয় কাজ করেছি।

Comments are closed.