হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় স্থবির ‘হিমালল কন্যা’

মাঘের শীত বাঘের গায়ে-প্রবাদ বাক্যটি এবার সত্যি হয়ে দেখা দিল হিমালল কন্যা খ্যাত দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। এখানে হাড় কাঁপানো শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে উত্তর থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস। এতে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। মাঘের শুরুতেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথবু এ অঞ্চলের জনজীবন। তাপমাত্রার পারদ ওঠা-নামা করছে অস্বাভাবিকভাবে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় তেতুলিয়ায় ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকেই কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। শীতার্তরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। বর্তমানে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ নেই। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।

অপরদিকে কয়েক দিন ধরে টানা ঠান্ডার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রায়ই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। তবে রবিবারের (১৯ জানুয়ারি) তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার শঙ্কা রয়েছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.