হালদা নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৪ সদস্যের কমিটি

হালদা নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ওই কমিটিতে হালদা নদীর তীরবর্তী এলাকার সংসদ সদস্যবৃন্দকে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে। আদালত বলেছে, সংসদ সদস্যবৃন্দের উপদেশ মোতাবেক কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৯ মে) এই আদেশ দেন।

এর আগে হালদা নদীর ডলফিন হত্যা বন্ধ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত দুটি প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হালদা নদী তীরবর্তী এলাকায় ১০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করা হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে দেড় লাখ বর্গমিটারের কারেন্ট জাল। বন্ধ করা হয়েছে বালু মহালের কার্যাদেশ। বেশ কিছু বালুবাহী ট্রলার ধ্বংস করা হয়েছে। পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ডলফিন হত্যা বন্ধে।

ওই প্রতিবেদনে আদালতের কাছে হালদার প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়। আদালত তা বিবেচনায় নিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে, হালদা নদীর ডলফিন হত্যা রোধ, প্রাকৃতিক পরিবেশ জীববৈচিত্র্য ও সকল প্রকার কার্প জাতীয় মা মাছ রক্ষা কমিটি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যরা হলেন, জেলা পুলিশ সুপার, চট্টগ্রামের নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর একজন করে প্রতিনিধি, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী, রাউজান, রামগড় ও মানিকছড়ির উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ অনুষদের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের মনোনীত দুইজন হালদা গবেষক ও দুইজন এনজিও প্রতিনিধি, নদী তীরবর্তী উপজেলা চেয়ারম্যানবৃন্দ। কমিটির সদস্য সচিব থাকবেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটনের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ১২ মে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার হালদা নদী থেকে আর একটিও ডলফিন কেউ যেন শিকার বা হত্যা করতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এ বিষয়ে বিবাদীরা কি ব্যবস্থা নিয়েছেন তা আদেশ প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ই-মেইলযোগে উচ্চ আদালতকে জানাতে বলা হয়। ওই আদেশ অনুসারে আদালতে প্রতিবেদন দেন বিবাদীরা।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.