হামাস বন্দীদের নাম না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না: নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে বন্দিদের নাম প্রকাশ না করা পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না। এদিকে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি বিলম্বের জন্য “প্রযুক্তিগত” কারণকে দায়ী করেছে। খবর আল জাজিরার।
গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে তখন তাদের আশেপাশে ফিরে যাওয়ার আশায় তাদের জিনিসপত্রের যা অবশিষ্ট আছে তা প্যাক করার সময় প্রতিবেদনটি এসেছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি)স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা) যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার পর দেশটি হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে, যা গত ১৫ মাস ধরে চলছে। ইসরায়েলি সহিংসতায় প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন লাখেরও বেশি মানুষ।
এই যুদ্ধবিরতিতে এই দেড় বছরের সহিংসতার অবসান ঘটবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।
কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এর আগে বেশ কয়েক মাস ধরে আলোচনা চললেও এতে ফল আসেনি। অবশেষে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের ঠিক একদিন আগে চালু হতে যাচ্ছে এই যুদ্ধবিরতি।
যারা মুক্তি পাবেন: ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবেন। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা থেকে তাদেরকে মুক্তি দিতে শুরু করবে ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতি হওয়ার খবরে গাজার খান ইউনিসে পাতাকা হাতে শিশুদের উল্লাস। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল বন্দিদের জন্য বিশেষ অভ্যর্থনা কেন্দ্র তৈরি করেছে। নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার আগে এসব কেন্দ্রে তারা চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং সেবা পাবেন।
হামাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দুই সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, আজ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তিন নারী সদস্য মুক্তি পাবেন। তারা ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের কাছে আটক আছেন।
তবে হামাসের ভাষ্য মতে, পূর্ণবয়স্ক কোনো ইসরায়েলি নাগরিক সামরিক প্রশিক্ষণ নিলেও তারা তাকে সেনা হিসেবে বিবেচনা করে। সে ক্ষেত্রে মুক্তি পেতে যাওয়া তিন নারী সৈনিক নাও হতে পারেন।
৭ অক্টোবর ২৫১ জন জিম্মি আটক হলেও এ মুহূর্তে গাজায় ৯৪ জন অবস্থান করছেন বলে ইসরায়েল ধারণা করে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতোমধ্যে নিহত হলেও তাদের মরদেহ হস্তান্তরকেও জিম্মি হস্তান্তরের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে ইসরায়েল।