হজ নিবন্ধন ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত
চলতি বছর হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধনের সময় ফের বাড়ল। বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয় নতুন করে নিবন্ধনের সময়সীমা ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল ৮ এপ্রিল। গত ১ মার্চ থেকে নিবন্ধন শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে হজ নিবন্ধনের সময় ১৫ মার্চ পর্যন্ত বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ায় সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে।
এবার চতুর্থ দফায় নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানো হল। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে হজ পালনে ইচ্ছুক, নিবন্ধনের জন্য পাসপোর্ট জমা প্রদানকারী অনেকে সরকারি ছুটির কারণে ব্যাংক থেকে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণ করতে পারেননি। ইতোমধ্যে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণকারী অনেকে টাকা জমা দিতে না পারায় নিবন্ধন করতে পারেননি। এমতাবাস্থায় ২০২০ সালে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধনের সুবিধার্থে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হল।
এছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত সব প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিসহ হজে গমনেচ্ছু যে কোনো ব্যক্তি নতুনভাবে একইসঙ্গে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করতে পারবেন। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক ৬ লাখ ৭২ হাজার ১৯৯ পর্যন্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ‘আগে আসলে আগে নিবন্ধন করা হবে’ ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সুবিধার্থে আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে পাসপোর্ট দাখিল করতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনা হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা শুধু এক লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করবেন। আপাতত কোনো অবস্থাতেই এর অতিরিক্ত টাকা জমা দেবেন না।
কোনো এজেন্সি নিবন্ধনের জন্য এর অতিরিক্ত টাকা দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় নেয়া অর্থ কোনো অবস্থাতেই এ পর্যায়ে হজ কার্যক্রম বাবদ বাংলাদেশে ব্যয় করা যাবে না এবং সৌদি আরবেও পাঠানো যাবে না। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কোনো এজেন্সি ব্যাংক থেকে এ টাকা উত্তোলন করতে পারবে না।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপকদের এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করা হল। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারিতে এক লাখ ২০ হাজারসহ মোট এক লাখ ৩৭ হাজার হজে যেতে পারবেন। তবে বিশ্বব্যাপী করোনার কারণে এবার হজ নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।