স্থল অভিযানের প্রস্তুতি ইসরায়েলের, গাজা সীমান্তে বিপুল সেনা-ট্যাঙ্ক
গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল। ইসরায়েলের বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ২৭ শিশুসহ মোট ১০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে হামাসের পাল্টা দেড় সহস্রাধিক রকেট হামলায় দিশেহারা ইসরায়েল।
আর তাই হামাসকে ঠেকাতে রিজার্ভ থেকে জরুরি ভিত্তিতে আরো ৯ হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) গাজা সীমান্তে এ বিপুল পরিমাণ সেনা ও ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হয়েছ। সেখানে স্থল অভিযান চালানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গান্টজ তাদের সেনাবাহিনীকে শক্তিবৃদ্ধি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। স্থল অভিযান চালাতে হলে ইসরায়েলের সেনা প্রধান এবং দেশটির সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
এদিকে, হামাসের সামরিক শাখা ইয্যাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের রামুন বিমানবন্দরে মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ‘আইয়াশ’ এর সাহায্যে হামলা চালানো হয়েছে। গাজা থেকে বিমানবন্দরটির দূরত্ব ২২০ কিলোমিটার, সেখানে ২৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাত হানা হয়েছে। ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আয়রন ডোম এটিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলের যেকোনো স্থানে হামলা করতে সক্ষম।
হামাসের রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত সাতজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ভারতীয় নারী ও ইসরায়েলি এক সেনা রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক ইসরায়েলি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলের দিকে গাজা থেকে প্রায় দেড় হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। যার বেশিরভাগ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
সূত্র: বিবিসি,সিএনবিসি।