সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার ও মালিকের বাসায় ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের’ তাণ্ডব

রাজধানীর মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার ও মালিকের বাসায় ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় সোহাগ পরিবহনের মালিক আলী হাসান তালুকদার পলাশ ও কাউন্টারের ১৪ থেকে ১৫ কর্মচারী আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্টারের সামনে সিগারেট খাওয়া নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে এই তাণ্ডব চালানো হয়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে।

এ ঘটনার জন্য জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের রমনা থানা ইউনিটের সভাপতি তালুকদার বিল্লালকে দায়ী করেছে সোহাগ পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ জানায়, কাউন্টারের সামনে দুই ব্যক্তি সিগারেট খাচ্ছিলো। এসময় কাউন্টারের কর্মচারীরা তাদের কাউন্টারের সামনে সিগারেট না খেতে অনুরোধ জানালে তারা কর্মচারীদের উপর চড়াও হয়।

কিছুক্ষণ পর ৫০/৬০ জনের একটি দল এসে এলোপাতাড়ি কাউন্টার ভাঙচুর ও কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে। এতে কাউন্টারের ১৪ থেকে ১৫ কর্মচারীসহ সোহাগ পরিবহনের মালিক আলী হাসান তালুকদার পলাশ নিজেও আহত হয়েছেন।

আলী হাসান পলাশ তালুকদারের ভাই মাজেদুল হক নাদিম বলেন, রমনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বিল্লালের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, পলাশ ভাইকে আক্রমণ করে গাড়ি ভাঙচুর করে। বাসার গেটেও হামলা করেছে। তবে ভেতরে ঢুকতে পারেনি। পলাশ ভাইয়ের গাড়ির ড্রাইভারের শরীরেও অসংখ্য কোপ লেগেছে।

তিনি বলেন, হামলার কারণ জানি না, আকস্মিকভাবে সবকিছু ঘটে গেলো।

রমনা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. নাহিদ জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৬০ থেকে ৭০ জন লোক কাউন্টারে এসে এলোপাথারি মারপিট করেছে। কাউন্টার ভাঙচুর করে স্টাফদের মেরেছে। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে আহত হয়েছেন। কারা হামলা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, আহতরা সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলার নেপথ্যের কারণ ও ভিডিও ফুটেজ ধরে হামলাকারীদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে।

You might also like

Comments are closed.