সেপ্টেম্বর মাসে দেশে রেকর্ড চা উৎপাদন
দেশে গত সেপ্টেম্বর মাসে ১৪ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। যা অতীতের যেকোনও মাসের চা উৎপাদন রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অনুকূল আবহাওয়া, ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও চা বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিং, বাগান মালিক ও শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে গত আগস্টের শ্রমিক কর্মবিরতির ধকল কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের চা শিল্প।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রায় ১৭ শতাংশ চা উৎপাদন বেশি হয়েছে। এর আগে মাস ভিত্তিক উৎপাদনের সর্বশেষ রেকর্ড হয়েছিল গত বছরের অক্টোবর মাসে। গত অক্টোবরে ১৪ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল।
চা বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি- সেপ্টেম্বর) দেশের ১৬৭টি বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন চা-বাগানে ৬৩ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের আগে আগস্ট মাসে ১০ দশমিক ৭৬২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়। জুলাইতে হয় ১১ দশমিক ২৬৭ মিলিয়ন কেজি। আর জুনে ১২ দশমিক ৫৮৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয় দেশে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ বছর আগস্ট মাসে শ্রমিক কর্মবিরতির কারণে উৎপাদন কিছুদিন বন্ধ থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনায় শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয় এবং বাগানের স্বাভাবিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু হয়। এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, চা রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রণোদনা, নিয়মিত বাগান মনিটরিং, শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো ও শ্রমকল্যাণ নিশ্চিতকরণের ফলে এ বছর চায়ের উৎপাদন অনেক ভালো। সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ড উৎপাদন চা শিল্পের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক ঘটনা।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, সরকারের নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বাগান মালিক, চা-ব্যবসায়ী ও চা-শ্রমিকদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলে চা শিল্পের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।