বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে টাইগার মাল্টিপল লঞ্চ রকেট/মিসাইল সিস্টেম (এমএলআরএস) এর অন্তর্ভুক্তিকরণ অনুষ্ঠান রবিবার (২০-০৬-২০২১) সাভার সেনানিবাসস্থ মিলিটারি পুলিশ সেন্টার এন্ড স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও টেলিকনফারেন্স (ভিটিসি) এর মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, এসবিপি (বার), বিএসপি, বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসি, জি, পিএইচডি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ইউনিটকে অন্তর্ভুক্তি সনদ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতার হাত ধরেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন শুরু হয়। তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং সম্প্রসারণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধু প্রণীত “প্রতিরক্ষা নীতি -১৯৭৪” এর ভিত্তিতে বর্তমান সরকার নতুন করে “প্রতিরক্ষা নীতি ২০১৮” এবং “ফোর্সেস গোল – ২০৩০” প্রণয়ন করে যার বাস্তবায়ন অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান সরকার বিভিন্ন মেয়াদে সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, সেনা বিমান ও হেলিকপ্টারসহ মর্ডান ইনফ্যান্ট্রি গেজেট, বিভিন্ন আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জামাদি ইত্যাদি সংযোজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যাধুনিক টাইগার এমএলআরএস অন্তর্ভুক্তির ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ হলো। ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনীর এই আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশগঠন ও বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ ও অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন। বিশেষ করে তিনি করোনা যুদ্ধ মোকাবেলায় দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সম্মুখ যোদ্ধাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। প্রিয় মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষায় এবং জাতির যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদবির সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।