সীমান্তে ফের উত্তেজনা, হামলায় আহত তিন বাংলাদেশি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে আবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চৌকা ও কিরণগঞ্জ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির মাঝামাঝি এলাকায় এ উত্তেজনা দেখা দেয়।বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ভারতীয় নাগরিকদের হামলায় তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর আগে চৌকা সীমান্তের ওপারে ভারতের সুখদেবপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। তখন চৌকা সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছিল।

সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, শনিবার দুপুরে সীমান্তে শূন্যরেখার পাশে বাংলাদেশের ভেতরের জমিতে গম কাটতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তখন ভারতীয় নাগরিকেরা এসে তাঁদের বাধা দেন। এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের ভেতরের কয়েকটি আমগাছ কেটে দেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ভারতীয় নাগরিকদের হাঁসুয়ার আঘাতে ও তাঁদের ছোড়া পাথরে কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হন।

স্থানীয় বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. বাদশা বলেন, সীমান্তে গম কাটা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। ভারতীয় লোকজন বাংলাদেশ অংশে ঢুকে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এতে তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

ভারতীয়দের হাঁসুয়ার আঘাতে আহত হয়েছেন বিনোদপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ নামোটোলা এলাকার যুবক মেসবাহুল হক। তিনি বলেন, তিনিসহ মোট তিনজন আহত হয়েছেন। অন্য দুজনের মধ্যে বিশ্বনাথপুর গ্রামের মো. রনি ভারতীয়দের ছোড়া পাথরের আঘাতে ও মো. ফারুক হাঁসুয়ার আঘাতে আহত হয়েছেন।

কালীগঞ্জ ঘুমটোলা গ্রামের রবু জানান, মোটরসাইকেলে করে ফারুক সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি দেখার জন্য গিয়েছিল। উত্তেজনার মধ্যে তীব্র বেগে আসা পাথরের আঘাত পান মাথায়।

স্থানীয় মিঠুন জানান, সীমান্তের বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময় কয়েকজন ভারতীয় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে রনির ওপর আক্রমণ করে। এতে রনি আহত হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৫৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের উপ–অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বলেন, বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। অতিরিক্ত ফোর্স তলব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজিবির ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে কথা বলতে তার মুঠোফোন নম্বরে ফোন করলেও তিনি ধরেননি।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.