দারুণ শুরু করেন সৌম্য সরকার। মাঝে তাকে যোগ্য সহায়তা দিলেন সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে ২৫ রান করে সাকিব ফিরলেও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গী হিসেবে পান এই ওপেনার। তার সঙ্গে ৬৬ রানের জুটিতেই জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। সৌম ৬৮ রান করে ফিরলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তরুন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তার ১৫ বলে অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংসের উপর ভর করে জিম্বাবুয়েকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবদানে সিরিজ জিতে নিলো বাংলাদেশ।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৯৪ রানের টার্গেট দেয় জিম্বাবুয়ে। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে রেজিস চাকাভা ও ওয়েসলি মাধেভেরের পর রায়ান বার্লের শেষের ঝড়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। ১৫ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন বার্ল।
চাকাভা ৪৮ ও ওয়েসলি মাধেভেরে করেন ৫৪ রান।
এর আগে অবশ্য এতো রান টপকে একবারই জয়ের রেকর্ড আছে টাইগারদের। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার দেয়া ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৫ উইকেট জিতেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে গেলে রীতিমতো রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশ দলকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এর আগে সর্বোচ্চ ১৬৪ রান টপকিয়ে জিতেছিল ২০১৬ সালে, খুলনায়। এবার সে রেকর্ড পাড়ি দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে এদিন ব্যাট হাতে ধ্বংসলীলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মাধেভেরে। আগের ম্যাচে ফিফটির স্বাদ পাওয়া এই ব্যাটসম্যান এ ম্যাচেও খেলেছেন পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব ইনিংস। তার ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংসের সঙ্গে চাকাভার ২২ বলে ৪৮ ও বার্লের ১৫ বলে ৩৫ রানের ওপর ভর করে ১৯৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে সৌম্য সরকার ২টি এবং সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজে সমতায় ফেরা জিম্বাবুয়ে এদিনও টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
আগের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি থেকে বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসানের জায়গায় একাদশে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। নাসুমের টি-টোয়েন্টি অভিষেক গত মার্চে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ইনজুরির কারণে আগের ম্যাচের মতোই একাদশে নেই লিটন কুমার দাস ও মোস্তাফিজুর রহমান।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে আট উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৩ রানে হারে বাংলাদেশ।