সারা দেশে আয়নাঘরের সংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০–এর মতো হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এদিন ঢাকার তিনটি গোপন বন্দিশালা বা আয়নাঘর পরিদর্শন করেন। সে বিষয়ে প্রেস উইং এই সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
প্রেস সচিব জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছয়জন উপদেষ্টা, গুম কমিশনের প্রধানসহ পাঁচজন ও গুমের শিকার আটজন। যে তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করা হয়েছে তার মধ্যে দুটি র্যাবের এবং আরেকটি ডিজিএফআইয়ের। পরিদর্শনের সময় কয়েকজন সাংবাদিকও ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গুম করে এসব গোপন বন্দিশালায় মানুষকে আটকে রাখা হতো। এসব বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশে যত ‘আয়নাঘর’ আছে, প্রতিটি খুঁজে বের করা হবে। গুম কমিশনের তদন্ত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্ত অনুযায়ী এর সংখ্যা কয়েক শ; ৭০০ থেকে ৮০০–এর মতো হতে পারে। বোঝা যাচ্ছে, এটি শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এ রকম আয়নাঘর ছিল।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।