সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র পুড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয়: ডিএমপি

দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে পুড়ে যাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ডিবি কার্যালয়ে থাকা সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরসাদুর রউফ এ তথ্য জানান।

এদিন সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কমিটিকে তদন্তের জন্য আরও ৬ মাসের সময় দেন হাইকোর্ট। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ মে ধার্য করেন আদালত। এ নিয়ে ১১৭ বার পেছায় প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

এ ঘটনায় নিহত রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে।

জানা গেছে, প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র‍্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছিল র‍্যাব।

You might also like

Comments are closed.