সাগর-রুনি হত্যা: বুধবার স্মারকলিপি দেবে ডিআরইউ, আসছে কঠোর কর্মসূচি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে আগামীকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে ঢাকা ভিত্তিক রিপোর্টারদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সামনে সাগর-রুনির নির্মম হত্যার বিচারের অপেক্ষায় ১৩ বছর শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভা থেকে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি আবু সালেহ আকন।

আবু সালেহ বলেন, এখানে আমরা যারা আছি সবাই সাগর-রুনি হত্যার বিচার চাই। আগামী নতুন কমিটিতে যারা আসবেন তারাও আশা করি এই হত্যার বিচার চাইবেন। যারা আমাদের আন্দোলন সংগ্রামকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে চেয়েছেন, পকেটে টাকা ভরেছেন, সরকারের টাকায় বিদেশে গেছেন, আলিশান ভাবে থেকেছেন, তাদেরও বিচার করবে এই সাংবাদিক সমাজ।

আবু সালেহ আকন বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে সংগ্রাম পরিষদ গঠনের কথা এসেছে। আমরা জেনেছি আগামী ২ মার্চ এই হত্যার প্রতিবেদন দাখিলের কথা রয়েছে। ২ মার্চ পর্যন্ত দেখব। যদি এর মধ্যে হত্যার প্রতিবেদন দাখিল করা না হয়, তাহলে সংগ্রাম কমিটি গঠন করে আমরা রাস্তায় নামবো এবং জোরালোভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বো।

এছাড়া এই হত্যার বিচার দাবিতে আগামীকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ডিআরইউ সভাপতি বলেন, গত ১৩ বছরেও এই হত্যার বিচার হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার যে ফ্যাসিস্ট ছিল তার প্রমাণ হচ্ছে, এই হত্যার বিচারকে তারা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত ছিল। তার প্রমাণ হচ্ছে, আমরা এখনো খুনিদের নাম জানতে পারিনি। সেই সময় শেষ হয়েছে, এখন আওয়ামী লীগ নেই। এখন বিপ্লবী সরকার ক্ষমতায়। আমরা তাদের কাছে আশা করছি, আমরা এই হত্যার বিচার পাবো। যদি না পাই আপনারা মনে রাখবেন, কেয়ামত পর্যন্ত এই হত্যার বিচার দাবি করে যাব আমরা।

প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য দেন ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কুদরত-ই-খুদা, রাশেদ আহমেদ, স্থায়ী সদস্য গাজী আনোয়ার, ডিইউজে প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.