সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী ‘বাংলাদেশি’ হতে পারে: মুম্বাই পুলিশ

ভারতীয় অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আটকের দাবি করেছে মুম্বাই পুলিশ।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) মুম্বাইয়ের থানে এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দ্য হিন্দু।

পরে এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে মুম্বাই পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ৩১ বছর বয়সী শরিফুল ইসলাম শেহজাদা গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে মুম্বাই ও এর আশেপাশের এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। তার কাছে ভারতে অবস্থানের কোনো বৈধ প্রমাণপত্র ছিল না এবং তার কাছ থেকে জব্দ করা নথিপত্র দেখে মনে হচ্ছে যে, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক হতে পারেন।

মুম্বাই পুলিশ আরও জানায়, ভারতে প্রবেশের পর তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে বিক্রম দাস রেখেছিলেন এবং অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি মুম্বাইয়ের একটি গৃহসহায়ক এজেন্সিতে কাজ করতেন।

বান্দ্রা বিভাগের জোন-৯ এর ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম বলেন, ‘অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে।’

মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘৫-৬ মাস আগে মুম্বাইয়ে আসেন শেহজাদ। এরপর কিছুদিন শহরেই ছিলেন। অভিযুক্ত একটি হাউসকিপিং এজেন্সিতে কাজ করতেন। তার কাজ থেকে মিলেছে ভুয়া নথিপত্র। ভারতীয় নাগরিক হওয়ার কোনো পরিচয় দেখাতে পারেনি সে।’

বান্দ্রা বিভাগের জোন-৯ এর ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম

অভিযুক্ত কি আগেও সাইফের বাড়িতে এসেছে, জানতে চাইলে ডিসিপি গেদাম বলেছেন— আমাদের কাছে এখনও এ সম্পর্কে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে ধারণা করা যাচ্ছে, সে প্রথমবার চুরির উদ্দেশ্যে অভিনেতার বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন।

জিজ্ঞাসাবাদে শেহজাদ পুলিশকে বলেছেন, তিনি জানতেন না যে সাইফ আলি খানের বাড়িতে প্রবেশ করেছেন। তার উদ্দেশ্য ছিল চুরি করা এবং সে কারণেই সে বাড়িতে ঢুকেছিল। হঠাৎ সইফ আলি খান তার সামনে হাজির হন এবং অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে বান্দ্রার ১১ তলার ফ্ল্যাটে হামলার শিকার হন সাইফ আলী খান। সাইফের শরীরে ছয়বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। লীলাবতী হাসপাতালে টানা পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর সাইফকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

এখন চিকিৎসকরা বলছেন, সাইফের অবস্থা আগের তুলনায় বেশ ভালো। তিনি সেরে উঠছেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.