সর্দিতে বন্ধ নাক, ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে খুলবেন

ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা-সর্দি লাগা স্বাভাবিক ঘটনা। আবার ধুলাবালিতে যাদের অ্যালার্জি, তাদের হুটহাট সর্দি লেগেই থাকে। তাই বলা যায় ঋতু পরিবর্তনে এটি নিত্য ঘটনা। সুতরাং ঠান্ডা-সর্দি বা অ্যালার্জির কারণে যাদের নাক বন্ধ হয়ে আসে, তাদের অনেকেই নেজাল ড্রপ ব্যবহার করে থাকেন। এতে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান হলেও দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে শরীরে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই হঠাৎ নাক বন্ধ হয়ে গেলে ঘরোয়া সমাধান অনুসরণ করলে মুসকিল আসান হয়।

সে জন্য যাদের এ সমস্যা দেখা দিয়েছে, তাদের জন্য বাষ্প গ্রহণ করা উচিত কারণ বাষ্প গ্রহণ শ্লেষ্মা আলগা করতে সাহায্য করে। এটি নাকের ফোলাভাব কমিয়ে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেয়। ভালো ফল পেতে তোয়ালের নিচে গভীরভাবে শ্বাস নিন। দ্রুতই সমস্যার সমাধান পাবেন।

এ ছাড়া ঘণ্টা দুই পরপর আদা চা পান করুন। কারণ আদায় থাকা অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। উষ্ণ আদা চা পানে গলার খুশখুশে ভাব কমে যায়। সেই সঙ্গে নাকের ফোলাভাব কমিয়ে দেয়। আর নিয়মিত আদা চা পানে ঠান্ডা ও বন্ধ নাক দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।

আবার ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খেলেও আরোগ্য লাভ করে। এই যেমন— কমলালেবু, কিউই, স্ট্রবেরিসহ আরও অনেক খাবার বন্ধ নাক সৃষ্টিকারী সংক্রমণগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আপনি নিয়মিত এ ধরনের খাবার গ্রহণ করলে ঠান্ডা ও নাকের বন্ধভাব কমে আসবে।

যদি এতেও সমস্যার সমাধান পাওয়া না যায়, তবে গরম পানির সঙ্গে মধু ও লেবু মিশ্রণ করে পান করুন। এটি একটি সতেজ পানীয়, যা শরীরকে আর্দ্র রাখে । এটি গলার জ্বালা বন্ধ করে এবং শ্লেষ্মা তরল করতে সাহায্য করে। মধুতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য, লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলিত হয়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে নাক বন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এ ছাড়া গরম দুধে হলুদ খেতে পারেন। কারণ হলুদে থাকা কারকুমিন একটি শক্তিশালী জ্বালারোধী উপাদান। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের প্রদাহ কমে। এতে সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়। এই মিশ্রণ নাকের বন্ধভাব দূর করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

You might also like

Comments are closed.