সবজিতে লাগাম নেই, তেলেও সংকট

সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকার মতো কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ, ঈদের আগে বিভিন্ন সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকারও কম ছিল। কোনো কোনো সবজির দাম আরও কম ছিল। অন্যদিকে, বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। কোনো কোনো দোকানে সয়াবিন তেল থাকলেও তা বোতলের গায়ের দামের চেয়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

রাজধানীর শুক্রবাদ বাজারে দেখা গেছে, করলা ও বরবটি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ, ঈদের আগে এ দুটি সবজির দাম ছিল ৭০ টাকার নিচে। এ ছাড়া ঝিঙা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা ৮০–১০০ টাকায়, পটোল, ঢ্যাঁড়স ৬০–৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে দাম কম রয়েছে পেঁপের, তাও ৪০-৫০ টাকা কেজি। অবশ্য কারওয়ান বাজারের মতো বড় বাজারে সবজির এ দাম আরও কিছুটা কম।

সবজি বিক্রেতারা জানান, বাজারে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। শীতের অধিকাংশ সবজি শেষ হয়ে গেছে আর গ্রীষ্মের অনেক সবজি এখনও বাজারে কম। এ কারণে দাম বেড়েছে।

এ ছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আলু, আদা, রসুন ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।

এদিকে, বাজারে আবারও সয়াবিন তেলের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে। অর্থাৎ কোনো দোকানে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল থাকলেও এক-দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো কোনো দোকানে প্রতি লিটারে নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারে নাজমুল নামের এক দোকানি বলেন, ‘এখন আর আগের মতো তেল পাওয়া যাচ্ছে না। অর্ডার নিচ্ছে না। ফলে, তেলের সংকট রয়েছে। গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।’

সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে একলাফে ১৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকরা। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে দুই দফা বৈঠকের পরও দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস ২৭ মার্চ ট্যারিফ কমিশনে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে ১ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৩ টাকা হবে বলে জানায় পরিশোধন কারখানার মালিকদের ওই সংগঠন। সেই হিসাবে লিটারে দাম বাড়ছে ১৮ টাকা। তবে দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের অনুমতি এখনও মেলেনি।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.