সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশের সাংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের শনিবারের জনসভার তারিখ পরিবর্তন
তিনি বলেন, একটি চিহ্নিত মহল অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় বসার স্বপ্নে বিভোর। তারা দেশের পবিত্র সংবিধান ও আইনের তোয়াক্কা করে না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামগীরের কাছে জানতে চাই, সংবিধানের বিধান ছাড়া কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে? আপনাদের ক্ষমতায় বসানোর নিশ্চয়তায় কোনো পাতানো নির্বাচন? বেনিয়াদের কাছে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের নির্বাচন? বাংলার মাটিতে জনগণ তা আর কোনো দিন হতে দেবে না।
শনিবার (৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাস্তবতা বিবর্জিত অর্বাচীন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের তথাকথিত লাগাতার আন্দোলন, কঠোর আন্দোলন, এক দফার দুর্বার আন্দোলন! সবকিছু ব্যর্থ হওয়ার পরও তারা ক্ষমতা দখলে উন্মত্ত ও মরিয়া। সেকারণে বিএনপি নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক বাস্তবতা উপলব্ধি না করে ক্রমাগতভাবে কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন। রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের সক্ষমতার পারদ যত নিম্নগামী হচ্ছে ততই তারা মিথ্যা ও অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় ভিন্ন উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে ভোটাধিকার হরণ করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যে অঙ্গীকার করে তা বাস্তবায়ন করে। সে কারণে জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তি ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপির পুরো টিমই রাজনীতির মাঠে যথেচ্ছভাবে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে- সারাদেশে স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ করছে। একুশে আগস্টের মাস্টারমাইন্ড দ-প্রাপ্ত পলাতক আসামী তারেক রহমান বিদেশে বসে লাগাতারভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাস না রেখে উস্কানির মাধ্যমে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পায়তারা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, তারা আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি। বরং খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক উদারতার কারণে। একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হয়েও বেগম খালেদা জিয়া বাসায় থেকে দেশের সর্বাধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছে, সেজন্য মির্জা ফখরুলদের উচিত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। অথচ বিএনপি বরাবরই খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অপরাজনীতি করে আসছে।
তিনি বলেন, তাদের নেত্রীর প্রতি তাদের ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ না থাকার কারণে তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করে তার উপর শারীরিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাই।