সংবাদপত্রের পাতা থেকে…

জানা অজানা অগণিত তথ্য দিয়ে সাজানো সংবাদপত্রের পাতা। এ সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তথ্য মনে দাগ কাটলেও, অনেকগুলোই দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আবার প্রথম পাতার সব শিরোনামও সবার পড়ার সুযোগ হয়না। মাল্টিনিউজের পাঠকদের জন্য এবার সেই অয়োজন সংবাদপত্রের পাতা থেকে। চলুন আজ বৃহস্পতিবার(৬ মার্চ) কোন সংবাদপত্রের প্রধান শিরোনাম কী, তা জেনে নিই।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘ঈদের পর মাঠে নামছে তিন দল’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঈদের পর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তিনটি দলই নির্বাচনের দাবিতে পৃথক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে।

বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করবে। তারা নির্বাচনের সময় নিয়ে সরকারের চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করবে এবং স্থানীয় নির্বাচনকে গুরুত্ব দেবে না।

জামায়াতে ইসলামী সংস্কারের পর নির্বাচন চায় এবং স্থানীয় নির্বাচনের দাবি তুলছে। তারা দলের নেতার মুক্তি ও আওয়ামী লীগের বিচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কর্মসূচি পালন করবে।

এনসিপি, যা জুলাই অভ্যুত্থানের ভিত্তিতে গঠিত, সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলন করবে এবং শেখ হাসিনার বিচারের দাবি জানাবে।

তারা সংস্কারের পর গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছে এবং দ্রুত নির্বাচনের বিরোধী অবস্থান নিয়েছে।

তিন দলই সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠবে, যা রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এভাবে রাজনৈতিক চাপ বাড়লে রাজপথ উত্তপ্ত হতে পারে।

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, নতুন আতঙ্কের নাম ‘মব জাস্টিস’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ‘মব জাস্টিস’ ও গণপিটুনির ঘটনা বেড়ে গেছে।

মব জাস্টিস হচ্ছে, যখন কিছু মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা, লুটপাট বা পদত্যাগে বাধ্য করে।

সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে, যেমন রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ, শিক্ষক, আইনজীবী, ডাকাত-ছিনতাইকারীসহ নানা শ্রেণির মানুষ এই ঘটনা শিকার হচ্ছেন।

একদিকে অপরাধ যেমন বাড়ছে, তেমনি গণপিটুনির ঘটনা চলছে। বিশেষ করে, রাজনৈতিক বিরোধিতা, চুরি, ডাকাতি, বা ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।

সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছে, তবে এখনও যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এই ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়, তবে সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যখন জনগণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আস্থা হারায়, তখন তারা নিজেদের হাতে আইন তুলে নেয়।

এজন্য পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে এবং জনগণকেও সচেতন থাকতে হবে, যাতে ‘মব জাস্টিস’-এর মতো পরিস্থিতি বন্ধ করা যায়।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘দরিদ্র মানুষ ও দুস্থ নারীদের চাল-গমের সহায়তা কমেছে’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা কমে গেছে। বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভালো মানের চাল এখন ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সরকারিভাবে চাল ও গম বিতরণ কমে যাওয়ার পরিমাণ ১১ শতাংশেরও বেশি।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এই সময়ে চাল ও গম বিতরণ হয়েছিল প্রায় ১৭ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দুই লাখ ২৩ হাজার টন কম।

বিশেষ করে, কাবিখা, ভিজিএফ এবং ভিজিডির মতো কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা কমেছে।

রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিতরণ প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া, গুদামে খাদ্য মজুতও কমেছে, যার কারণে খাদ্য বিতরণে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

তবে, আগামী মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেড় লাখ টন চাল বিতরণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

দেশে চালের দাম বাড়ার মূল কারণ বিদেশি বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের মূল্যমান। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কম দামে খাদ্য সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষ করে বর্তমানে যে আর্থিক সংকট চলছে, তা থেকে বের হওয়ার জন্য খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন।

সমকালের প্রধান শিরোনাম, রাজনৈতিক দলের কোর্টে এখন ‘সংস্কারের বল’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে মতামত চেয়েছে।

এতে রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঁচটি বিকল্পের মাধ্যমে জানতে বলা হয়েছে কিভাবে সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা যায়।

যেমন- নির্বাচন আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে, গণভোটের মাধ্যমে, বা নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কার। আগামী ১৩ই মার্চের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে সরকার সড়ক, পুলিশ, দুদক, জনপ্রশাসন নিয়ে অধ্যাদেশ দিয়ে সংস্কার করতে পারে, তবে সাংবিধানিক পরিবর্তনগুলো গণভোটের মাধ্যমে করা হতে পারে।

বিএনপি এবং কিছু দল নির্বাচনের বিলম্বিত হওয়ার বিরুদ্ধে, তবে জামায়াত ও অন্যান্য দল দীর্ঘস্থায়ী সংস্কারের পক্ষে।

বিএনপি তাদের নিজস্ব সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে এবং পর্যালোচনা করছে কমিশনের সুপারিশ, তারা দ্রুত সংসদ নির্বাচনের পক্ষে।

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের পক্ষে। অনেক দল কমিশনের সুপারিশের সম্পূর্ণ বা আংশিক রিপোর্ট পায়নি এবং কিছু দল আরো সময় চাচ্ছে মতামত তৈরি করার জন্য।

সব দলই সতর্কভাবে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চায়।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘সড়ক আন্দোলন থেকে উঠে আসা ছাত্রনেতারা এখন সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছেন না’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলে।

ওই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্রুত সড়ক আইন পাস করে এবং সড়ক নিরাপত্তার জন্য কিছু উদ্যোগ নেয়।

তবে, বর্তমানে বেশিরভাগ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি, আর সড়ক দুর্ঘটনা ও বিশৃঙ্খলার হার বেড়েছে।

যদিও সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আন্দোলন শুরু করা ছাত্রনেতারা এখন আর এ বিষয়ে কিছু বলছেন না।

২০১৮ সালের আন্দোলনে যারা সক্রিয় ছিলেন, তারা এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ দেখা যায়নি। কিছু ছাত্রনেতা বলেন, এখন তারা শুধু নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নয়, নানা অন্য বিষয়েও কাজ করছেন।

বর্তমান সরকারও সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে তারা মনে করছেন।

তারা আশা করছেন, সরকার সড়ক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে উদ্যোগী হবে এবং এ বিষয়ে কোনো কমিশন গঠন করলে কাজ আরও এগিয়ে যাবে।

তবে, বেশিরভাগ ছাত্রনেতা মনে করেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের আন্তরিকতা প্রয়োজন, এবং তারা সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত।

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘নির্বাচন নিয়ে তিন মত দলগুলোর’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনের বিষয় নিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি-এর মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে।

বিএনপি দ্রুত সংসদ নির্বাচনের পক্ষে এবং ন্যূনতম সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে, তবে জামায়াতে ইসলামী আগে স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে চায়।

এনসিপি, যা নতুন দল, তারা গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি করছে এবং পুরোনো সংবিধান পরিবর্তন করে নতুন সংবিধান চায়।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য পাল্টে যাচ্ছে।

বিএনপি রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য চাপ দিচ্ছে, তবে জামায়াত স্থানীয় নির্বাচন আগে চায়।

এনসিপি আরও সময় দিয়ে সংস্কারের পক্ষে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা জরুরি, অন্যথায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে।

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে বিক্ষোভ দমনে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সহিংসভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

২০২৪ সালের জুলাই ও অগাস্টে বিক্ষোভ দমনের সময় বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে নারী ও শিশুরাও সহিংসতার শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান মিশন বাংলাদেশে এসে ঘটনাগুলোর তদন্ত করে এবং প্রমাণ সংগ্রহ করে।

তারা সরকারের পক্ষ থেকে সহিংসতার প্রমাণ পায়। হাইকমিশনার বলেন, সরকার পতনের পর এই অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার সময় এসেছে এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যেতে পরামর্শ দিয়েছে।

এছাড়া, তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, সরকার ২০১৮ সালের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সহযোগিতা করছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রস্তুত।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও এসব অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। অবশেষে, তিনি মানবাধিকার অফিস স্থাপনের প্রস্তাব দেন।

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Female labour migration from Bangladesh continues to drop’ অর্থাৎ, ‘বাংলাদেশ থেকে নারী শ্রমিক অভিবাসন হ্রাস পাচ্ছে’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে নারীদের শ্রম অভিবাসন গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ভাষাগত সমস্যা, দক্ষতার অভাব এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নারী শ্রমিকদের অভিবাসন ৪২ শতাংশ কমে গেছে। ২০২৩ সালে ২০২২ এর তুলনায় ২৮ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ২০২৩ এর তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে।

বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখন দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে, কারণ তারা ভাষার বিষয়ে দুর্বল এবং অন্য দেশগুলোর শ্রমিকদের চেয়ে কম দক্ষ।

এ ছাড়া, উচ্চ অভিবাসন খরচ এবং অধিক পরিমাণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে নিয়োগদাতা এজেন্টরা নারী শ্রমিক পাঠাতে আগ্রহ হারিয়েছে।

বাংলাদেশি নারীরা সাধারণত গৃহকর্মী, গার্মেন্টস কর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, দর্জি, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী হিসেবে বিদেশে যান।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অভিবাসন খাতে নারীদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সরকারকে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা পুনঃমূল্যায়ন করা উচিত।

বর্তমানে, নারীদের বিদেশে কাজের জন্য কমপক্ষে দুই মাসের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক।

এছাড়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অন্যান্য দেশগুলোর অভিবাসন নীতি পরিবর্তনও নারীদের অভিবাসনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘WFP halves food ration for Rohingyas’ অর্থাৎ, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য রেশন অর্ধেক করে দিল ডব্লিউএফপি’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এপ্রিল থেকে বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক খাদ্য সহায়তা অর্ধেক কমিয়ে ১২ দশমিক ৫০ ডলার থেকে ছয় ডলারে নামিয়ে দিয়েছে, যা কক্সবাজার এবং ভাসানচর ক্যাম্পগুলোতে ব্যাপক ক্ষুধার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

রোহিঙ্গা ত্রাণ কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, “তারা যা পাচ্ছে তা ইতোমধ্যে যথেষ্ট নয়, তাই নতুন করে যদি সহায়তা কমানো হয় সেটার পরিণতি কল্পনা করা কঠিন।”

ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, তারা ১২ দশমিক ৫০ ডলার ধরে রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু তহবিল সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছে।

সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, ছয় ডলার বা তার কমে খাদ্য সহায়তা দেয়া হলে তা বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ করতে পারবে না এবং ক্যাম্পগুলোতে উত্তেজনা আরও বাড়বে।

মার্কিন সরকারের অর্থায়ন বন্ধ হওয়ার কারণে এই সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ছিল প্রধান দাতা।

গত বছর রেশন কাটার পর ৯০ শতাংশ রোহিঙ্গা একটি উপযুক্ত খাবার খেতে পারেনি, যার ফলে অপুষ্টি বেড়ে গিয়েছিল।

এটি রোহিঙ্গা জনগণের জন্য একটি বিপর্যয় এবং এর প্রভাব কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের ওপরও পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.