শ্রীলঙ্কার দারুণ শুরু

মাথায় বড় রানের চাপ নিয়ে শুরুতে ভড়কে যায়নি শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার নিসাংকা-উদারার ব্যাটে দারুণ শুরু করে। দুই পেসার হাসান-রানাকে দুজনে সামলাচ্ছেন দারুণভাবে। ওভার প্রতি ৫ রান করে তুলেছেন দুজনে। সপ্তম ওভারে বাংলাদেশ স্পিনার তাইজুলকে নিয়ে আসে।

এর আগে, ১৫১ ওভারে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। প্রত্যাশা ছিল ৫০০ রানের। কিন্তু গতকাল বিকেলের ব্যাটিং ধসটা পূর্ণতা পেলো সকালের তৃতীয় ওভারে এসেই। নাহিদ রানাকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দেন আসিথা ফার্নান্দো।

বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের সকালে যোগ করলো মোটে ১১ রান। কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৮ বলে শূন্য রান করা নাহিদ রানা। এর মধ্য দিয়ে শেষ উইকেটটি হারিয়ে দলীয় ৪৯৫ রানেই শেষ হলো বাংলাদেশের ১ম ইনিংস। আসিথা ফার্নান্দো নিয়েছেন ৪ উইকেট। হাসান মাহমুদ অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে।

এর আগে, মঙ্গলবার গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। সাদমান ইসলামের সঙ্গে ইনিংসের সূচনা করতে নামেন এনামুল হক বিজয়। ১০ বল মোকাবেলা করেও বিজয় অবশ্য রানের খাতা খুলতে পারেননি। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৫ রানে।

দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন সাদমান ও মুমিনুল। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে তাদের জুটিটি ৩৪ রানের চেয়ে বেশি লম্বা হাতে পারেনি। সাদমানের উইকেট পতনের মাধ্যমে জুটি ভাঙে। ৫৩ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাদমান।

তবে সাদমান বিদায় নেওয়ার পর থামতে হয় মুমিনুলকেও। ওয়ানডে মেজাজে ৩৩ বলে ২৯ রান করে দলীয় ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক। তবে দলীয় ৪৫ রানে তিন উইকেট হারানোর পর শান্ত ও মুশফিকের ব্যাটিংয়ে ঘুড়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

এদিন ২০২ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত। এর কিছুক্ষণ পর মুশফিকুর রহিমও সেঞ্চুরি হাঁকালেন। তার শতকের কিছুক্ষণ পরই মঙ্গলবার প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়।

You might also like

Comments are closed.