শান্তি আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন
দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে তুরস্কে প্রথমবারের মত সরাসরি আলোচনায় বসেছেন রাশিয়া-ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। এটি ২০২২ সালের পর দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথম সামনাসামনি বৈঠক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে শুক্রবার (১৬ মে) ইস্তাম্বুলে এই বৈঠক করেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বসফরাসের বিলাসবহুল ডলমাবাহচে প্রাসাদে রুশ এবং ইউক্রেনীয় আলোচকদের সঙ্গে কথা বলছেন। এ সময় এক টেবিলে রাশিয়ান প্রতিপক্ষের মুখোমুখি ছিলেন ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধবিরতি অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ শান্তির সুযোগের নতুন জানালা খোলার জন্য উভয় পক্ষের আগ্রহ দেখে তিনি খুশি বলেও জানান ফিদান।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে দুটি পথ আছে—একটি পথ আমাদের শান্তির দিকে নিয়ে যাবে, অন্যটি নিয়ে যাবে ধ্বংস এবং মৃত্যুর দিকে। উভয় পক্ষ তাদের নিজস্ব ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা কোন পথ বেছে নেবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তুরস্কে অবস্থান করলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেখানে যাননি। তিনি তার প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন। ফলে এই আলোচনা ফলপ্রসূ হবে কি হবে না, এ সংশয় মাথায় রেখেই আলোচনায় বসেছে দু’দেশের প্রতিনিধি দল।

Comments are closed.