শপথ নিলেন মমতা
স্বাধীন ভারতের ৭৪ বছরের ইতিহাসে ইতিহাস সৃষ্টি হলো বুধবার। এদিন রাজভবনের থ্রোন রুমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পরপর তিনবার অভিষিক্ত হওয়ার রেকর্ড গড়লেন। তামিলনাড়ুতে জয়ললিতা তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হলেও পরপর তিনবারের রেকর্ড তারও নেই। এদিন রাজভবনের অনুষ্ঠানটির স্থায়িত্বকাল ছিল মাত্র চার মিনিট। বিশিষ্ট ৫০ জন অতিথির সামনে মমতাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। আমন্ত্রিত হয়েও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
দিলীপ বাবু জানিয়ে দেন, চারদিকে যখন বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন তখন তিনি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার তাগিদ অনুভব করেননি। সৌরভের অনুপস্থিতির কারণ জানা যায়নি। কোভিডের কারণে শপথ অনুষ্ঠান ছিল একদমই অনাড়ম্বর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে রাজভবনে পৌঁছান দশটা কুড়ি নাগাদ।
মমতার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ির সামনে সাজানো হয় মিল সাদা বেলুন দিয়ে। ছিল কাটআউট এবং প্ল্যাকার্ড হোর্ডিং।
আট মিনিটে মমতা রাজভবনে পৌঁছান। শপথ বাক্য পাঠ করার পর মমতা বলেন, আজই তিনি নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য। এটি তার প্রথম প্রায়োরিটি জানিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যে কঠোরভাবে দমন করা হবে হিংসা। কেউ নিস্তার পাবে না অন্যায় করলে। প্রশাসনে নির্বাচন কমিশন কিছু অযোগ্য লোককে বসিয়েছিল। এগুলোর পরিবর্তন তিনি আজই করবেন বলে জানান। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর মমতাকে তার ‘বড়দি’ বলে ডেকে আসা প্রকাশ করেন যে, হিংসা দমনে মমতা রাজধর্ম পালন করবেন এবং সুশাসনের নিরিখে এই সরকার দৃষ্টান্ত গড়বে। মমতা শপথ নেয়ার পর নবান্নে যান। সেখানে তাকে কলকাতা পুলিশের পক্ষে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।