লুইসের জোড়া গোল, পিএসজিকে ২-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ

অম্লমধুর অভিজ্ঞতা বুঝি একেই বলে! জোড়া গোল করার পর প্রথমার্ধেই লাল কার্ড দেখলেন লুইস দিয়াস। প্রতিপক্ষে একজন কম থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়িয়ে ব্যবধান কমাল পিএসজি। তবে শেষ রক্ষা হলো না তাদের। দারুণ জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠল বায়ার্ন মিউনিখ।
প্যারিসে মঙ্গলবার রাতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ২-১ গোলে জিতেছে ভিনসেন্ট কোম্পানির দল। স্বাগতিকদের গোলটি করেছেন জোয়াও নেভেস।চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে ১৬ ম্যাচের সবকটি জিতল জার্মানির সফলতম ক্লাবটি।
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে গত জুলাইয়ে পিএসজির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল বায়ার্ন। তারপর থেকে আর এই অভিজ্ঞতা তাদের হয়নি।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় এখন বায়ার্ন। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল।
তিন জয়ের পর প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল শিরোপাধারী পিএসজি, ৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে দাপট দেখায় পিএসজি। ৭১ শতাংশ সময় পজেশন রেখে গোলের জন্য ২৫টি শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। বায়ার্নের ৯ শটের ৫টি লক্ষ্যে ছিল।
ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগে চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। প্রথম দফায় বক্সে ঢুকে মাইকেল ওলিসের নেওয়া শট এগিয়ে এসে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক লুকাহ শুভালিয়ে, ফিরতি বল জালে পাঠান দিয়াস।
২২তম মিনিটে উসমান দেম্বেলে বায়ার্নের জালে বল পাঠালেও ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। পরক্ষণেই দেম্বেলে মাঠ ছেড়ে যান পায়ে অস্বস্তি অনুভব করায়। তার বদলি নামেন লি কাং-ইন।
৩১তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে সের্গে জিনাব্রির শট লাগে পোস্টে। পরের মিনিটেই প্রতিপক্ষের ভুলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বায়ার্ন।
বক্সের বাইরে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পিএসজি ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন দিয়াস।প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের আশরাফ হাকিমিকে ফাউল করে শুরুতে হলুদ কার্ড দেখেন দিয়াস। পরে ভিএআরে মনিটরে দেখে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্নের ওপর চাপ বাড়ায় পিএসজি। ৬৮তম মিনিটে দারুণ সেভে জাল অক্ষত রাখেন মানুয়েল নয়ার। বক্সের বাইরে থেকে ভিতিনিয়ার শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন অভিজ্ঞ জার্মান গোলরক্ষক।
৭৪তম মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় পিএসজি। সতীর্থের ক্রস ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে দারুণ নৈপুণ্যে জালে পাঠান নেভেস।
পরের মিনিটে কাছ থেকে ভিতিনিয়ার প্রচেষ্টা রুখে দেন নয়ার। ৮১তম মিনিটে নেভেসের দারুণ হেড পোস্ট ঘেঁসে বেরিয়ে যায়।
বাকি সময়েও চেষ্টা করে যায় পিএসজি, তবে হার এড়াতে পারেনি।
You might also like

Comments are closed.