লম্বা ছুটিতে বাইক নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন? এড়িয়ে চলুন এই কয়েকটি ভুল
দেশে অনেক সময় বিভিন্ন উৎসব কেন্দ্র করে লম্বা ছুটি মিলে যায়। কাজেই অনেক ক্ষেত্রে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেন লাখো মানুষ; তার মধ্যে মোটরসাইকেল যোগে রওনা হন হাজার হাজার বাইকার। কেউ যান নিজ বাড়িতে, আবার কেউ ঘুরতে যান পাহাড় কিংবা সমুদ্রের পাড়ে। ছুটিছাটায় এসব যাত্রায় তবুও একটা ‘কিন্তু’ থাকে— সেটা হলো বাইকারদের কিছু সাধারণ ভুল, যার ফলে আনন্দের যাত্রা কখনও কখনও পরিণত হতে পারে বিষাদে।
ঢাকার বাইরে যে জেলাতেই যাওয়া হোক না কেন, দূরত্ব যতই হোক, মহাসড়ক ব্যবহার করতেই হয় বাইকারদের। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন বাড়তি প্রস্ততি ও সতর্কতা। হাইওয়েতে মাইলের পর মাইল ছুটে চলা, গতি নিয়ন্ত্রণ, বড় গাড়ির চাপ—সব মিলিয়ে বাড়তি চিন্তা থেকেই যায়। তবে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে আপনিও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
গতি নিয়ন্ত্রণে অবহেলা : বাইকাররা প্রায়ই উৎসাহে বা ব্যস্ত সময়সূচির কারণে উচ্চ গতিতে চালান। হাইওয়েতে দ্রুত যাত্রা রোমাঞ্চকর হলেও আদতে এটি দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ায়। সর্বদা স্পিড লিমিট মেনে চলুন এবং রাস্তার অবস্থা অনুযায়ী গতি নিয়ন্ত্রণ করুন। উৎসব কিংবা ছুটি কেন্দ্র করে গতি নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে স্পিড গান নিয়ে পুলিশি তৎপরতাও দেখা যায়। তাই বাড়তি গতিতে মোটরসাইকেল না চালিয়ে বরং তাদের সঙ্গে কোওপারেট করুন।

গাড়ি ও ট্রাকের চাপে অযাচিত লেন পরিবর্তন : বড় গাড়ি বা ট্রাকের পাশে হঠাৎ লেন পরিবর্তন বিপজ্জনক। হাইওয়েতে এগুলো এড়িয়ে চলুন এবং নিজের লেনেই স্থির থাকুন।
যাত্রার আগে বাইকের চেকআপ না করা : লম্বা যাত্রার আগে ব্রেক, টায়ার, লাইট ও ইঞ্জিন চেক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব ছোটখাটো ত্রুটি বড় বিপদের কারণ হতে পারে।

বিশ্রামের অভাব : লম্বা পথ একটানা চালানো শরীর ও মন দুটোই ক্লান্ত করে দেয়। প্রতি ১–২ ঘণ্টা অন্তর বিরতি নিন, পানি পান করুন, শরীর হাইড্রেটেড রাখুন। প্রয়োজনে স্যালাইন রাখতে পারেন। কোথাও বিশ্রাম নিয়ে ওঠার পর চট করেই বাইকের গতি তুলবেন না।
অতিরিক্ত যাত্রী বা মালামাল : অনেকে অযথা ভারী ব্যাগ প্যাক করেন। অনেক ক্ষেত্রে ভারী ব্যাগ কিংবা অতিরিক্ত মালামাল বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দেয়। বিশেষ করে লম্বা যাত্রায় নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রার জন্য যতটা কম মালামাল বহন করা যায়। নারী ও শিশু বহনে সতর্ক হোন, প্রয়োজনে এসব পরিহার করুন।
আবহাওয়ার খবর না নেওয়া : আবহাওয়ার পরিস্থিতি জেনে লং রাইডে যাওয়াটা একটা বুদ্ধিমানের কাজ। বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলে রেইনকোট ক্যারি করুন। বৃষ্টির সময় গতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

Comments are closed.