লন্ডনে ফ্ল্যাট বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় দুর্নীতি-বিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক নিয়ে চাপে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। ফলে মন্ত্রিত্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন দেশটির দুর্নীতি-বিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ। সোমবার (৬ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক তিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমের সহযোগী দৈনিক দ্য মেইল অন সানডে টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে একাধিকবার জানতে চেয়েছে, তাকে দুই শয্যাকক্ষের ফ্ল্যাটটি উপহার হিসোবে দেওয়া হয়েছে কি না। বর্তমানে যার বাজার মূল্য প্রায় ৭ লাখ পাউন্ড। সাবেক স্বৈরাচারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন মঈন গনি ফ্ল্যাটটি দিয়েছিলেন।
তবে বাংলাদেশের হাইকোর্ট দাবি করেছে, টিউলিপ সিদ্দিক পারমাণবিক প্ল্যান্ট চুক্তির ‘দালালি’ করতে সাহায্য করেছিলেন। ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে শেখ হাসিনা এবং ভ্লাদিমির পুতিন সিদ্দিকের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
শেখ হাসিনা, ভ্লাদিমির পুতিন, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিক। ফাইল ছবি: ডেউলি মেইল
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বলছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
জবাবে উপহার হিসাবে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা তাকে কিনে দিয়েছেন। একই সঙ্গে দ্য মেইল অন সানডে পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন টিউলিপ।
তবে দেশটির লেবার পার্টির একাধিক সূত্র লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার ফ্ল্যাটটি আসলে একজন ডেভেলপার টিউলিপ সিদ্দিককে ‘‘কৃতজ্ঞতাস্বরূপ’’ দিয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে।
তবে ডেইলি মেইল বলছে, মন্ত্রী হওয়ার আগে ঠিকানা হিসাবে ফ্ল্যাটটি তালিকাভুক্ত করেছিলেন। তার স্বামী, ক্রিশ্চিয়ান পার্সি ২০১৬ সালের শেষের দিকে এটিকে তার বাসভবন হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন, সেই সময়ে সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্নের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। সম্পত্তিটি ২০২১ সালে ৬৫০,০০০ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছিল।
মিসেস সিদ্দিকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের এই সম্পত্তির মালিকানা বা অন্য কোনো সম্পত্তি আওয়ামী লীগের সমর্থনের সঙ্গে যুক্ত করা হলে তা স্পষ্টত ভুল হবে।