লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের তিন নেতার বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামে চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম রিয়াজ, নুরুল্লাপুর গ্রামে সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদ আলম এবং পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামে জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু ছিদ্দিক মুন্নার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে একদল লোক।
হামলাকারীরা প্রত্যেক বাড়ির মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু ছিদ্দিক মুন্না বলেন, হামলাকারীরা একটি ঘরের তালা ভেঙে মালামাল লুট করেছে। পরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাশের ঘরে আমার স্ত্রীসহ স্বজনরা ছিল।
চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রিয়াজ বলেন, “আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছু ছাই হয়েছে। কোনো জামা কাপড় নেওয়ার সুযোগও ছিল না। ঘরে আমার বাবাসহ পরিবারের লোকজন ছিল।”
নাম গোপন রাখা শর্তে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন পরপর হামলাগুলো চালিয়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনাতেই হাতবোমা হামলা করেছে তারা। অগ্নিসংযোগ করে সব জ্বালিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষও আতঙ্কে রয়েছে।
ওসি কায়সার হামিদ বলেন, “খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হকসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কারা ঘটিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো কাউকে চিনতে পারেননি।”
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
৫ অগাস্টের পর বৃহস্পতিবার আরেক দফা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নসহ চার নেতার বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।