‘রোহিঙ্গারা নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেছেন, সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে (মিয়ানমারে) প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন। তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক চাপের কারণেই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন। অল্প দিনের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন শুরু হবে।
দুর্যোগের সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বৃটিশ হাইকমিশনার বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন সে জন্য তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য। মহামারী করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কুমুদিনী পরিবার এবং সারাদেশে সুন্দর পরিবেশে শারদীয়া পূজা উদযাপন হওয়ায় তিনি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন আজ রবিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা রায়বাহাদুরের নিজ গ্রাম মির্জাপুর সাহাপাড়ায় শারদীয়া দুর্গাপূজা মণ্ডপ এবং কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে এ কথা বলেন।
এ সময় কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক শ্রী মতি সাহা ও সম্পা সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, এজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক লিটন, কুমুদিনী উইমেনস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এম হালিম, কুমুদিনী নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল সিস্টার রীনা ক্রুশ, মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর্জা মো. জুবায়ের হোসেন, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীন মণ্ডল, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১০টার দিকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেপুটি হাইকমিশনার কুমুদিনী কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছালে কুমুদিনী পরিবারের সদস্যরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। লাইব্রেরি মিলনায়তনে চা চক্রের পর অতিথিরা কুমুদিনী হাসপাতাল, নার্সিং স্কুল এন্ড কলেজ, কুমুদিনী উইমেনস মেডিকেল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমসসহ কুমুদিনী পরিবারের বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান এবং মির্জাপুর সাহাপাড়া গ্রামে রণদা প্রসাদ সাহার পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।