রোহিঙ্গাদের জন্য তুরস্কের ২০ টন মেডিক্যাল সামগ্রী প্রদান
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হাসপাতাল পুর্নির্মাণের জন্য ১৩ জন স্বেচ্ছাসেবী, ২০ টন মেডিক্যাল সামগ্রী পাঠিয়েছে তুরস্ক। এসব সামগ্রী নিয়ে তুর্কি একটি সামরিক কার্গো বিমান হজরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে উড়োজাহাজটি অবতরণ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হজরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান গণমাধ্যমকে জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য ১৩ জন স্বেচ্ছাসেবী, ২০ টন মেডিসিন ও মেডিক্যাল সামগ্রী নিয়ে তুরস্ক বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ এসেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের নির্দেশে দেশটির জরুরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি), স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও নগরায়ণ মন্ত্রাণালয়ের সমন্বয়ে এসব মেডিক্যাল সামগ্রী ও স্বেচ্ছাসেবী দল বাংলাদেশে এসেছেন। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের কাজ তদারকি করবেন।
এর আগে গত ২৭ মার্চ তুরস্ক বিমানবাহিনীর সি ১৩০ প্লেনে রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ টন তাঁবু পাঠানো হয়েছিল।
পুড়ে যাওয়া হাসপাতালটি ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ভয়াবহ নির্যাতনে দেশটি থেকে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের নানাভাবে সহায়তা করে আসছে তুরস্ক।