রাষ্ট্র সংস্কারে বিশ্বনবীর নীতি-কৌশল অনুসরণের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামী চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করার দাবি করা হয়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নেত্রকোনায় ‘রাষ্ট্র সংস্কারে রাসূল (সা.) এর নীতি ও কৌশল’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ দাবি জানান বক্তারা। জেলা প্রেসক্লাব হলরুমে নেত্রকোনা ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সমাজকল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছ এ সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রবন্ধ পাঠ করেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল করিম।
এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা এন. আকন্দ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল বাতেন। এছাড়া জামায়াত ইসলামীর বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, রাসূল (সা.) ছিলেন আদর্শের সর্বোচ্চ মূর্ত প্রতীক। তাঁর জীবন ছিল মানবজাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষার উৎস। পৃথিবীতে আগত সকল নবী ও মহামানবদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জীবন ছিল নিখুঁত ও পরিপূর্ণ। তাঁর প্রতিটি কাজ, কথা ও ঘটনার মধ্যে যেন একটি আলোকিত দিশারী ছিল, যা মানব সমাজের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে উঠেছে। শুধু মক্কা ও মদিনা নয়; বরং পুরো আরব বিশ্বকে তিনি আমূল সংস্কার করেছেন। তিনি ছিলেন সফল আদর্শ ব্যবসায়ী, দূরদর্শী সংস্কারক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নিপুণ সেনানায়ক, নিরপেক্ষ বিচারক, মহান রাজনীতিক ও অপরাপর মহৎ গুণের অধিকারী। বিশ্ব ইতিহাসের এক অনন্যাধারণ কীর্তিমান মহামানব।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের রাষ্ট্র সংস্কারে ক্ষেত্রে রাসূল (সা.) এর নীতি ও কৌশল অনুসরণ করতে হবে। তাহলে এটি সবার জন্য কল্যাণকর হবে। সেইসাথে ইসলামী চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করার দাবি জানান তারা।