রাশিয়ার মানুষ সুপারমার্কেটে চিনির জন্য লড়ছে!

ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। এমন সময়ে রাশিয়ার মানুষ একটি সুপারমার্কেটে চিনির জন্য একে অপরের সাথে লড়াই করছে। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি দেখে বুঝা যায়, ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার কতোটা অর্থনৈতিক পতন হয়েছে। দেশটির প্রধান খাদ্যদ্রব্য কতোটা দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে।

একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ১০ কেজি চিনি কিনতে পারবেন, রাশিয়ার কিছু দোকান এবং সুপারমার্কেটে এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্টের এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়ঃ ২০১৫ সালের পর রাশিয়ায় বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। চিনির দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও ক্লিপটিতে, একটি শপিং মার্কেটে চিনির প্যাকেট দখলের জন্য মানুষকে চিৎকার করতে, মারামারি করতে এবং একে অপরের উপরে উঠতে দেখা যায়।

শেয়ার করার পর থেকে ওই ভিডিওটিতে লাইক এবং কমেন্টের ঝড় উঠেছে যা যুদ্ধের কারণে রাশিয়ানরা কেমন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তাই প্রকাশ করে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন যে, দেশে চিনির কোনো ঘাটতি নেই এবং ক্রেতাদের আতঙ্কিত হয়ে কেনাকাটার ফলে এবং উৎপাদনকারীরা দাম বাড়ানোর জন্য পণ্য মজুত করায় এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার সরকার দেশ থেকে চিনি রপ্তানির উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চিনির দাম ৩১ শতাংশ বেড়ে গেছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে আরও বেশ কিছু পণ্যও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।

অনেক বিদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় তাদের ব্যবসা ছেড়ে চলে গেছে। এর ফলে অটোমোবাইল, গৃহস্থালী জিনিসপত্র এবং টেলিভিশনের মতো আমদানিকৃত পণ্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

রাশিয়ার সরকার মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে দেশের মুদ্রাস্ফীতি সীমিত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, দেশজুড়ে মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সেগুলো অকার্যকর বলে মনে হচ্ছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.