নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না। ষড়যন্ত্রকারীদের নীলনকশায় বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার বিরদ্ধে বিচার দিয়েছেন। আমি নাকি সন্ত্রাসী, আমি নাকি বিতর্কিত। এই রাঙ্গা সেই রাঙ্গা, যে রাঙ্গাকে প্রধানমন্ত্রী পৌরসভার মেয়র থেকে মন্ত্রী করেছেন। আজ সেই রাঙ্গা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন স্বৈরাচার। রাঙ্গা সাহেব পরিবহন জগতের শ্রেষ্ঠ চাঁদাবাজ। পরিবহন জগতকে ধুয়েমুছে খেয়েছেন আপনি, আজকে বড় বড় কথা বলেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে আয়োজিত তার বিরুদ্ধে মহান জাতীয় সংসদে মিথ্যাচার করায় সংবাদ সম্মেলনে কাদের মির্জা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার।
কাদের মির্জা বলেন, দেশে এখন দুঃশাসন চলছে। এরশাদের স্বৈরাচার, জিয়াউর রহমানের এগুলো দেখেছি। আজকে এগুলো কেন চলছে, বলতে পারবেন। এ কারণ দেশে বিরোধী দল নেই। এ জন্য এগুলো চলছে। সব একতরফা চলছে। এটা হচ্ছে দুঃশাসন, দেশে দুঃশাসন চলছে। একতরফা সব লুটপাট করছে। বলার কেউ নেই। ক্ষমতায় বেশিদিন থাকলে যা হয়, এখন সবাই আখের গোছাতে ব্যস্ত।
তিনি বলেন, বিএনপি দুর্নীতিতে চার-পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ আপনারা চ্যাম্পিয়ন না, আরো বড় চ্যাম্পিয়ন হবেন, যদি এখন খোঁজখবর নেন। আপনাকে শেষ করে দিতেছে, নেত্রী। আপনার সব অর্জন শেষ করে দিতেছে। রাজনীতিবিদ, প্রশাসন দুর্নীতি করে আপনার সব অর্জন নষ্ট করে দিতেছে। ৪৭ বছর রাজনীতি করি। একজন কর্মী হিসেবে এসব মেনে নিতে পারি না।
তিনি তার ভাবি (ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী) বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বলেন, তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অপরাজনীতির কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগে বিভক্তি দেখা দেয়। যা পরে সংঘাতে রূপ নেয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হওয়া ছাড়া হামলার শিকার হয়ে দুই পক্ষের অনেকে।
আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক মুজাক্কির (বুরহান উদ্দিন ওরফে মুজাক্কির) হত্যার ঘটনায় জড়িত একজনের নাম উল্লেখ করে বলেন, মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় জড়িত ফাল্গুন (ইকবাল হোসেন ওরফে ফাল্গুন) এখন কোথায়? ঘটনার পর বাদল-রাহাত তাকে প্রথমে ভারত পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপর সেখান থেকে কাতারে পাঠানো হয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা বিলম্বের সমালোচনা করে কাদের মির্জা বলেন, ৯ তারিখে আশা করেছিলাম কমিটি দেবে। সেটাও হয়নি। বলে, স্বপন ইন্ডিয়া গেছে। সে দেশে এলে কমিটি দেবে। এখন বলবে নেত্রী গেছে যুক্তরাষ্ট্রে, উনি আসুক। আর এ দিকে একরামের রামরাজত্ব চলছে পুরো নোয়াখালীতে।
তিনি বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জে সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা না নিলে এবং অন্যায়ভাবে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি, কোম্পানীগঞ্জে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ, চর এলাহীর ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে তীব্র আন্দোলনের হুমকি দেন।