রহস্যঘেরা ধূমকেতুর ছবি তুলল হাবল টেলিস্কোপ

নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা আন্তঃনাক্ষত্রিক ধূমকেতু ৩আই/অ্যাটলাস সম্পর্কে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। গত ১ জুলাই অ্যাস্টেরয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম (ATLAS) প্রথম ধূমকেতুটি শনাক্ত করে। তখন এটি সূর্য থেকে প্রায় ৬৭৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা ছবিতে ধূমকেতুর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পরিষ্কার দৃশ্য পাওয়া গেছে।

নাসা জানিয়েছে, ধূমকেতুর বরফময় কেন্দ্র (নিউক্লিয়াস) প্রায় ৩২০ মিটার থেকে ৫.৬ কিলোমিটার ব্যাসের হতে পারে। এর আগে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, এর কেন্দ্র কয়েক দশ কিলোমিটার আকারের। তবে হাবলের শক্তিশালী ক্যামেরা দিয়েও কেন্দ্রটি সরাসরি দেখা যাচ্ছে না।

ধূমকেতুটি ঘণ্টায় প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার কিলোমিটার বেগে সৌরজগতে ছুটে চলছে—যা সৌরজগতের বাইরের কোনো বস্তু থেকে আসা সর্বোচ্চ গতির রেকর্ড।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর উৎস অজানা। হাবল পর্যবেক্ষণ দলের প্রধান ডেভিড জিউইটের ভাষায়, এটি দেখার অভিজ্ঞতা ঠিক যেন এক মুহূর্তের জন্য গুলির ঝলক দেখা—তাতে বোঝা সম্ভব নয়, এটি কোথা থেকে এসেছে।

ছবিতে দেখা গেছে, সূর্যের উষ্ণতায় ধূমকেতুর এক পাশে ধুলোর মেঘ (ডাস্ট প্লুম) তৈরি হয়েছে এবং কেন্দ্র থেকে একটি লেজের মতো ধুলোর রেখা ছড়িয়ে পড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধূমকেতু এক নতুন ধরনের বস্তুসমষ্টির অংশ, যা আগে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। শক্তিশালী  আকাশ জরিপ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এখন এসব বস্তু আবিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে।

You might also like

Comments are closed.