এক মার্কিন লেখককে যৌন নির্যাতন ও মানহানির অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় বহাল রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্য গার্ডিয়ান এই তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক, লেখিকা ও কলাম লেখক এলিজাবেথ জিন ক্যারল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই মামলা ঠুকেছিলেন।
আপিলে হেরে যাওয়ায় ট্রাম্পকে এখন ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এবিসি নিউজের বিরুদ্ধে মানহানি মামলায় দেড় কোটি ডলার পাবেন ট্রাম্প ম্যানহাটনের আপিল আদালত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই আদেশ দেয়।
এর আগে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম আবারও চালানোর আবেদন করেছিলেন ট্রাম্প, যা আদালতে নাকচ হয়।
সে সময় আদালতের আদেশে বলা হয়, মামলায় অভিযোগকারীদের সাক্ষ্যসহ সব প্রমাণ যথাযথভাবে জমা দেওয়া হয়েছে।
ক্যারলের অভিযোগ ছিল, ১৯৯৬ সালে নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। ওই সময় তিনি এক বন্ধুর জন্য উপহার কিনতে সেখানে গিয়েছিলেন।
পূর্বপরিচিত ট্রাম্প তাকে উপহার পছন্দ করে দিতে সহায়তা করছিলেন। ধর্ষণের পাশাপাশি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগও করেন ক্যারল।
পৃথক মানহানির একটি মামলায় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালত ক্যারলকে ৮৩ লাখ ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাম্পের প্রতি আদেশ দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করেছেন ট্রাম্প।
প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ারও ২০ বছর আগে ক্যারলকে ধর্ষণ ও মানহানির এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের দাবি, প্রচার পেতে এমন ‘কল্পকাহিনি’ তৈরি করেছেন ক্যারল।
মার্কিন লেখিকা জিন ক্যারল। ফাইল ছবি
এ ঘটনায় করা মামলায় গত বছরের মে মাসে ট্রাম্পকে দোষীসাব্যস্ত করেছিলেন একটি আদালত। তবে সে সময় আদালতের জুরি এটিকে ধর্ষণের মামলা হিসেবে উল্লেখ করেননি।
রায়ে যৌন নির্যাতনের দায়ে ট্রাম্পকে ২০ লাখ ডলারের কিছু বেশি ও ক্যারলের মানহানির জন্য আরও ২৯ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এদিকে আপিল আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে ক্যারলের আইনজীবী রবার্টা কাপলান বলেন, জিন ক্যারল ও আমি দুজনই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট। ভুক্তভোগী পক্ষের যুক্তি বিবেচনা নেওয়ায় আদালতকে ধন্যবাদ জানাই আমরা।
ট্রাম্প বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা এ ধরনের সব অভিযোগ নাকচ করেছেন।
সেই সঙ্গে দাবি করেন, কখনোই ক্যারলের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ট্রাম্প।
সেই সময়ও এ মামলার কার্যক্রম চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।