যে কোনো দলের বিপক্ষে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় টাইগারদের!
জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে রানের ব্যবধানে এটিই টাইগারদের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৩ রানে জিতেছিলো টাইগাররা। সেই ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের করা ৩২০ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩২.২ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।
রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের গতির তাণ্ডবের মুখে পড়ে ৩৯.১ ওভারে ১৫২ রানে অলআউট হয় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ১৬৯ রানে বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় টাইগাররা।
রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তামিম ইকবালের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস। ৪৩ বল খেলে ২৩ রান করে আউট হন তামিম। এরপর তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ৮০ রানের জুটি গড়েন লিটন। ৩৮ বলে ২৯ রান করে শান্ত আউট হলেও উইকেটে অবিচল ছিলেন ওপেনার লিটন। চার নাম্বার পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ফের ৪২ রানের জুটি গড়েন তিনি। ২৬ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে ফেরেন মুশফিক।
সাত নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নামা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ২৮ বলে ৩২ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। ৪১ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় ফিফটি তুলে নেয়ার পর সেই ক্রিস এমপোফুর বলে এলবিডব্লিউ হন মিঠুন। ৪ বলে ৭ রানে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
শেষ ওভারে তার এমন ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ২০০৯ সালের বুলাওয়ে ৮ উইকেটে গড়া ৩২০ রানের সেই রেকর্ড ভেঙে ৬ উইকেটে ৩২১ রানের ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩৩/৮ রান। গত বছরের জুনে বিশ্বকাপের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়ে টাইগাররা।
৩২২ রানের পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তুলে নেন ওপেনার কামুনহুকাম্বে এবং দ্বিতীয় উইকেটে নামা চাকাভাকে। আরেক ওপেনার চিবাবাকে তুলে নিয়ে নিজের উইকেট খরা কাটান অধিনায়ক মাশরাফি। শুরুর এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
ওয়েসলি মাধহিভিরের ৩৫ ছাড়া আর কেউ উল্লেখযোগ্য স্কোরই করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রানের বিশাল পরাজয় নিয়েই মাছ ছাড়তে হয়েছে সফরকারিদের। বল হাতে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।