যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২০

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার মধ্যেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, কাতারে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ার একটি আবাসিক ব্লকে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বোমা হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত পাঁচজনের মরদেহ জেনিন সরকারি হাসপাতালে পৌঁছেছে। এর মঙ্গলবার ইসরাইলি বিমান হামলায় জেনিনে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হন।

যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে মধ্যস্থতা করছে তিনটি দেশ—কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার রাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির যে চুক্তি হয়েছে তা ১৯ জানুয়ারি, রবিবার থেকে কার্যকর হবে।

চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস, যাদের মধ্যে সব নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষরা রয়েছেন।

গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে গাজার সীমান্তের ৭০০ মিটার (২,২৯৭ ফুট) এর বেশি দূরে অবস্থিত এলাকায় ইসরাইল তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে।

ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের গাজার উত্তরে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেবে এবং প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক পর্যন্ত ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেবে।

শর্ত পূরণ হলে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার মধ্যেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

You might also like

Comments are closed.