যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন গাজায় ঢুকেছে ৬৩০ ত্রাণবাহী ট্রাক
ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ সামরিক অভিযানে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) খাদ্য ও জরুরি ত্রাণবাহী ৬৩০টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ এই তথ্য জানিয়েছে।
ইউনিসেফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১ হাজার ৩০০ ট্রাক রাফাহ সীমান্তে প্রস্তুত আছে। এরপর ত্রাণবাহী আরও ৭০০ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারবে। আমরা একা নই, অন্যরা এসব মানবিক সহায়তা প্রস্তুতে কাজ করছেন।
এর আগে মিশর জানিয়েছিল, প্রতিদিন ৫০০ ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকবে গাজায়। তীব্র খাদ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে রোববার যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ৬৩০ ট্রাক প্রবেশ করেছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
রবিবার সারাদিনে রাফা ও অন্য সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে মোট ৬৩০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। ট্রাকগুলোতে গাজার বাসিন্দাদের জন্য জ্বালানি, ময়দা, চিকিৎসা সামগ্রী, শাকসবজি, মাংস ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণ পাঠিয়েছে। এই ট্রাকগুলোর মধ্যে ২৫০টি উত্তর গাজায় পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি বাহিনীর ১৫ মাসের অভিযানে গাজার উত্তরাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। আগের দিন শনিবার গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের সহায়তা প্রদানের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা আনরোয়া জানিয়েছিল, গাজার রাফাহ ও কারাম আবু সালেম ক্রসিংয়ের কাছে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে ৪ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক। সামনের দিনগুলোতে গাজায় আরও ট্রাক প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে নজিরবিহীন এক হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। হামলায় নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। এর পাশাপাশি ২৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে গাজায় নিয়ে যায় হামাসের যোদ্ধারা। সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
১৫ মাসের সেই ভয়াবহ অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ জন। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১১ হাজার মানুষ।