যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন হাসপাতালে

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা বিল ক্লিনটন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার(২৩ ডিসেম্বর) রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে তাকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় উরেনা বলেন, তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। চমৎকার চিকিৎসা সেবা ও যত্নের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেছেন তিনি। খবর বিবিসির

এক্সপোস্টে এর চেয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি উরেনা। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শিগগিরই ক্লিনটনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং শিগগিরই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ক্লিনটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা ‘উদ্বেগজনক’ নয় এবং শিগগিরই তিনি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার, এখানেই ভর্তি আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট

 বিল ক্লিনটনের পুরো নাম বিল জেফারসন ক্লিনটন। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য আরকানসাসের এই শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতার জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৯ আগস্ট। যৌবনে আইনজীবী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা এই মার্কিন রাজনীতিক ১৯৭৬ সাল থেকে ’৭৮ সাল পর্যন্ত আরকানসাসের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন; তারপর ’৭৯ সালে মাত্র ৩১ বছর বয়সে সেই অঙ্গরাজ্যের গভর্নর হন। এই পদে তিনি ছিলেন ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। তারপর ওই বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হন ক্লিনটন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশকে পরাজিত করেন। ১৯৯৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।

৭৯ বছর বয়স্ক ক্লিনটন সর্বশেষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ২০২১ সালে। রক্তে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় সেবার হাসপাতালে যেতে হয়েছিল তাকে।

তার আগে ২০০৪ সালে ৫৮ বছর বয়সে বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে। সে সময়ই হৃদপিণ্ডের সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে তার। এই সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে ২০১৫ সাল থেকে নিরামিষভোজী হয়ে যান তিনি। ২০১৬ সালে পলিটিকো পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, যদি নিরামিষভোজী না হতাম, তাহলে সম্ভবত এখনও আমি বেঁচে থাকতে পারতাম না। নিরামিষভোজী হওয়ার পর থেকে আমি চমৎকার আছি।

ক্লিনটন এখনও রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। গত নভেম্বরে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমালা হ্যারিসের পক্ষে প্রচারণার জন্য পুরো দেশ সফর করেছেন তিনি।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.