দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধায়নে অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে যমুনা নদীর ওপর অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি দেশের বৃহৎ যমুনা রেলওয়ে সেতু’র। এখন চলছে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) কাঙ্ক্ষিত গতি ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে সফলভাবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে রেলওয়ে সেতুটির নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা। আগামীকাল সোমবার(৬ জানুয়ারি) জেনারেলের ইন্সপেকশন বাংলাদেশের রেলওয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই যেকোনো সময় চলাচল শুরু করতে পারবে বাণিজ্যিক ট্রেন।
জাপান-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতুর অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শেষে এখন চলছে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল। সকাল সাড়ে ৯টায় চারটি কোচ ও একটি ইঞ্জিন সংযোজিত দুটি ট্রেন সেতুর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে একযোগে দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু করে। পরে পর্যায়ক্রমে ৪০ কিলোমিটার থেকে ধাপে ধাপে বাড়ানো হয় গতি। এক পর্যায়ে কাঙ্ক্ষিত গতি ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে সক্ষম হয় পরীক্ষামূলক ট্রেন দুটি।
কাঙ্ক্ষিত গতিতে ট্রেন চলাচলে কোনো ত্রুটি দেখা না দেওয়ায় খুশি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি এটি আন্তর্জাতিকমানের রেলসেতু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদউর রহমান জানান, জিআইবিআর এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই যেকোনো সময় চলাচল শুরু হতে পারে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল। এই সেতুটি চলতি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে হতে পারে উদ্বোধন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই সেতুর। ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যানের ওপর নির্মিত হয় সেতুটি।