মিয়ানমারে এবার পাচার হলো পিকআপ-জিপ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্ত দিয়ে এবার মিয়ানমারে পাচার হলো পিকআপ ও ট্যুরিস্ট জিপ। খবর পেয়ে বাধা দিতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কা থেকে অল্পের জন্যে রক্ষা পেলেন চাকঢালা বিওপি বিজিবির কয়েকজন সদস্য। শনিবার (৮ মার্চ )রাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের চাকঢালা, নিকুছড়ি, জামছড়ি, সাপমারাঝিরি হয়ে অনেক পণ্য চোরাচারাচালান করছেন দুই দেশের চিহ্নিত পাচারকারীরা। তারা বাংলাদেশ থেকে পাচার করছেন তেল, সার, ওষুধ, স্থানীয়ভাবে তৈরি গুলি-অস্ত্রসহ হরেক রকম পণ্য। এর মধ্যে সর্বশেষ আজ গেল দুটি দামি গাড়ি। একটি পিকআপ (ছোট ট্রাক), দ্বিতীয়টি খোলা জিপ। আর মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে ইয়াবা, সোনা, ক্রিস্টাল মেথ বা আইস, গবাদিপশুসহ বিভিন্ন রকম পণ্য।

সীমান্তের বাসিন্দা আবদুল হাকিম, আবদুর রহিম, ছৈয়দ আহমদসহ অনেকে জানান, চোরাকারবারি মাদু, সেলিম ও নূর মোহাম্মদের সিন্ডিকেট আজ গাড়ি দুটি পাচারে জড়িত। গাড়ি দুটি পাচারে দুজন সোর্সসহ ৩০ জন চেকার মোতায়েন ছিলেন বলে তাঁদের ভাষ্য।

গাড়ি দুটি পাচারে চাকঢালার কালুফকির সড়ক ও আশারতলী-সাপমারাঝিরি হয়ে গয়ালমারা দিয়ে পুরানমাইজ্জা সীমান্ত পয়েন্টে মিয়ানমারে ঢোকে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য।

তারা বলেন, গাড়ি দুটি ওপারে পাচারে বাধা আসায় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেটের প্রধান মোহাম্মদ হোসেন মাদু বলেন, মানুষে বললে তিনি কী করবেন। এ দুটি গাড়ি পাচারে তিনি জড়িত নন।

মোহাম্মদ সেলিম বলেন, এসব ফাঁকা বুলি। মাদু ও নূর মোহাম্মদ নিয়েছে, তিনি নেননি এ গাড়ি। তবে বিভিন্নভাবে চোরাচালান চলছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম কফিল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.