প্রাথমিকে ৮৫ শতাংশ উপস্থিতি ছাড়া মিলবে না উপবৃত্তি

জানুয়ারিতে উপবৃত্তির জন্য নতুন শিক্ষার্থী নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে

প্রতি মাসে ৮৫ শতাংশ উপস্থিতি ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাবে না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষায় পেতে হবে ৪০ শতাংশ নম্বর। এক্ষেত্রে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীর জন্য ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নম্বর পাওয়ার বাধ্যবাকতা রয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকায় এসব বিধান থাকলেও এতদিন মানা হয়নি। ফলে কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাম লিখিয়ে ক্লাস না করেও উপবৃত্তি পাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

উপবৃত্তির এসব অনিয়ম নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সরব হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

এ পরিস্থিতিতে উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন ও যাচাই-বাছাইয়ে বিধিবিধান কঠোরভাবে মেনে চলতে উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের উপবৃত্তি শাখার পরিচালক নাছিমা বেগম বলেন, উপবৃত্তি নিয়ে এসব বিধান নির্দেশিকা ও ম্যানুয়ালে উল্লেখ থাকলেও তা না মানায় নানা অনিয়ম হয়েছে। কোথাও কোথাও ৮৫ শতাংশ উপস্থিতির শর্ত না মানলেও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়ার অভিযোগ আছে। অভিযোগ আছে, কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত করা হয়েছে; তারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস না করেও উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছেন। আগামী জানুয়ারিতে উপবৃত্তির জন্য নতুন শিক্ষার্থী নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তর ঘুরে দেখেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

সোমবার (৯ডিসেম্বর) দুপুরে এক অনুষ্ঠানে সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যত টাকাই পাক, ব্যয়টা কিন্তু কম না। কিন্তু এটি যে উদ্দেশে করা হয়েছে, সেখানে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জিত হচ্ছে না। উপবৃত্তির জন্য প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের নাম থাকে, কিন্তু তারা অন্য স্কুলে অধ্যয়ন করছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে উপবৃত্তি পাচ্ছেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী। প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা মাসে ৭৫ টাকা, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মাসে ১৫০ টাকা এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মাসে ২০০ টাকা হারে উপবৃত্তি পান। এক পরিবারের সর্বোচ্চ দুইজন উপবৃত্তি পেয়ে থাকেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.