মানুষ খেতে পায় না, তাদের ঘরে বসে থাকতে বলছে সরকার: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার নামে মাত্র লকডাউন দিয়েছে। কিন্তু এর আড়ালে তারা ক্র্যাকডাউন দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ খেতে পায় না, অথচ তাকে আপনারা ঘরের মধ্যে বসে থাকতে বলছেন। বসে থাকবে আগে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে দিন। আমরা সরকারকে তাদেরকে এককালীন ৩ মাসে ১৫ হাজার করে টাকা দেয়ার প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। আপনারা জানেন বর্তমানে প্রায় ২ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করছে। আর বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে সব মিলিয়ে প্রায় ৬ কোটি মানুষ কর্মহীন।

এই ৬ কোটি মানুষের জন্য কিন্তু প্রণোদনা দেয়নি সরকার। প্রণোদনা গেছে গার্মেন্ট, ইন্ডাস্ট্রির মালিকদের জন্য। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করেছিলাম। তারা ৭৭ শতাংশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই কথাগুলো সরকারকে বলে কোন লাভ হয় না। সরকারের নীতি নির্ধারকেরা বলছেন, সরকারের নির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা নেই। পরিকল্পনা বিহীন সাধারণ মানুষজন লকডাউন মানবে কিভাবে।

সোমবার ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ২৬ শে মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সরকার নিজেরাই বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে সেটি বিরোধিদের উপর চাপাচ্ছে। বিরোধীদের উপরে মামলা দিয়ে গণগ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ঈদের মধ্যেও জামিন দেয়া হয়নি।

মির্জা আলমগীর বলেন, ঈদের জন্য সরকার মাত্র ৩ দিন ছুটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু মানুষ তো থেমে নেই। দুর্ভোগের মধ্যে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে তারা বাড়িতে রাওনা হয়েছে ও ছুটি শেষে তাড়াহুড়ো করে ঢাকায় ফিরছে। যাদের নিজেদের গাড়ি আছে তাদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে সাধারণ জনগণ। আমরা সরকারকে অনেক আগে থেকেই বলে আসছি করোনা মোকাবেলায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। এখানে সরকারের চরম ব্যর্থতা, উদাসীনতা শুধু বলবো না এটা হচ্ছে তাদের অজ্ঞানতা এবং সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। তাদের ব্যর্থতার কারণেই আজকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, কোনো আইনগত বাঁধা না থাকা সত্ত্বেও গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে দিচ্ছে না সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি মামুন উর রশীদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ নেতাকর্মীরা

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.