মানজারুল রানার বাড়িতে যেতে চান হোয়াটমোর
এখনও আগের মতো উদ্যমী। চটপটে এবং সবকিছুতে তীক্ষ্ণদৃষ্টি রেখে কাজ করে চলা। জাতীয় দলের সাবেক কোচ ডেভ হোয়াটমোরের কথাই বলা হচ্ছে। বিপিএলে ফরচুন বরিশালের মেন্টর ডেভ বাংলাদেশে পা রেখেই স্মৃতিকাতর। পুরোনোদের খোঁজ করছিলেন। কয়েকজনের দেখা পেয়ে বেশ আবেগি হলেন। যেন বহু বছর পর স্বজনদের কাছে মনের আগল খুলে কথা বলতে পারছেন।
নষ্টালজিয়ার ভিড় ঠেলে হোয়াটমোরের হৃদয়কে নাড়া দেয় প্রয়াত ক্রিকেটার মানজারুল ইসলাম রানা। ২০০৭ সালে যিনি এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। রানার মৃত্যু প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছিল বিশ্বকাপ খেলা দলকে। কোচ ডেভ শোককে শক্তিতে পরিণত করতে বলেছিলেন শিষ্যদের। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রানার কবরের সামনে একবার গিয়ে দাঁড়াতে চান। দিতে চান একটু সম্মান।
বিপিএলের ব্যস্ত সূচিতে ঢাকা থেকে খুলনা গিয়ে একটি দিন কাটিয়ে আসার মতো ফুরসত নেই। তা জেনেও রানার বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ কোচের। একজন সাংবাদিক ডেভকে জানালেন, তার এ ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কোচের প্রিয় পাগলা। বাংলাদেশের চাকরিতে দুই মেয়াদে ছিলেন হোয়াটমোর। সে সময়ে বেশ উন্নতি করেছিল টিম বাংলাদেশ। মাশরাফির মতো অনেকেই তার প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন একাগ্রতা দিয়ে। সেই স্মৃতি নিয়ে শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ রফিককে বুকে জড়িয়ে নিলেন।
স্টেডিয়ামের প্রিয়মুখ বুলুর সঙ্গে নানা কথা তার। বোঝা গেল এত বছর পরও বাংলাটা ভোলেননি তিনি। স্পষ্ট বাঙালি উচ্চারণে কিছু শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল হোয়াটমোর বাংলাদেশেরই কেউ। এশিয়ানদের মতো যার হৃদয় ছুঁয়ে থাকে পরিচিতজন। আসলে তিনি তো শ্রীলঙ্কান অস্ট্রেলিয়ান। পিতার জন্মভূমি শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করলেও তিনি এখন থাকেন শ্রীলঙ্কায়। তার আবেগ বাংলাদেশের মানুষের কাছাকাছি হওয়া স্বাভাবিক। হোয়াটমোরের এই আবেগ, ভালোবাসা হয়তো হৃদয়জুড়ে থাকবে আরও বহুদিন।