মধ্যরাতে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়িতে ডাকাতি

পাবনার সাঁথিয়ায় মধ্যরাতে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে বাস-ট্রাকসহ অন্তত ১৫-২০টি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত প্রায় দুইটার দিকে ছেঁচানিয়া ও তলটের মাঝামাঝি ব্রিজের পাশে সড়কে বড় বড় গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি মালবাহী ট্রাক আটকে রাখে ডাকাতরা। এতে কিছু সময়ের মধ্যেই বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোসহ প্রায় ১৫-২০টি গাড়ি আটকে পড়ে। এসময় ৩০ থেকে ৪০ জন হাসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলোতে ডাকাতি করে। গাড়ির গেট খুলতে দেরি করায় কিছু গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুরও করে তারা। তখন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ তাণ্ডব।

ডাকাতির কবলে পড়া আব্দুস সালাম নামে এক ইসলামী বক্তা ফেসবুকে দেওয়া ভিডিও বক্তব্যে বলেন, কিছুক্ষণ আগে এই সড়কে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়িগুলোতে ডাকাতি করেছে। হুট করে আমাদের গাড়িতে আক্রমণ করে ডাকাতদলের সদস্যরা। বারবার গাড়িতে আঘাতের পর আমরা ড্রাইভারকে গেট খুলে দিতে বললে ডাকাতরা ঢুকে ড্রাইভারের গলা ও পেটে চাকু ধরে। একইভাবে অন্যদেরও জিম্মি করে সব লুট করে নিয়ে যায়। আমরা বলেছি, ভাই যা আছে সব নেন, কিন্তু কাউকে আঘাত করিয়েন না। আমাদের গাড়িতে কাউকে আঘাত করেনি। অনুরোধ করায় আমার দুটি মোবাইল ফেরত দিয়ে যায়।

ওই ইসলামী বক্তা আরও বলেন, একটি মাইক্রোতে করে দেশে ফিরছিলেন এক প্রবাসী। ওই গাড়িতে আক্রমণ করে কয়েকজনকে মারধর করে সব লুটে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ প্রশাসন এগিয়ে আসেনি। থানায় ফোন দিয়েও কোনো সারা পাওয়া যায়নি। আতঙ্কে আমরা রাত কাটিয়েছি। যখন ডাকাতরা চলে গেছে এরপর পুলিশ আসছে। পুলিশ যদি শুরুতেই আসত তাহলে এতবড় ডাকাতির ঘটনা ঘটত না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সাঁথিয়া থানার ওসির দ্রুত অপসারণ ও শাস্তির দাবি করেন তারা।

সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে বৈষম্যবিরোধী নেতৃবৃন্দ ঢাকা থেকে আসছে বলে বাড়তি টহল দেওয়া হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.