মগজের শক্তি বাড়ানোর অদ্ভুত ব্যায়াম!
আপনার মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করলে, তা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরো ভালো রাখবে। আমরা বার বার যা করি, মস্তিষ্ক তাই ধারণ করে এবং স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়।
অভ্যাসের বাইরে গিয়ে কিছু করাটাই মস্তিষ্কে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান। স্মৃতিক্ষয় প্রতিরোধ ও মনকে উৎফুল্ল রাখার জন্য এ প্রতিবেদনে মস্তিষ্কের অদ্ভুত কিছু ব্যায়াম তুলে ধরা হলো।
বাম হাত দিয়ে দাঁত ব্রাশ: আপনি যদি ডানহাতি হন তাহলে বাম হাত দিয়ে ব্রাশে টুথপেস্ট লাগান এবং বাম হাত দিয়েই দাঁত ব্রাশ করুন। এবং বামহাতি হলে ডান হাত এ কাজ করুন। এটি মস্তিষ্কের জন্য উপকারি এক ধরনের মানসিক ব্যায়াম। কেননা গবেষণা বলছে, হাতের সঙ্গে যেহেতু মস্তিষ্কের উদ্দীপনার যোগসূত্র থাকে, তাই মস্তিষ্কের বিপরীত দিক ব্যবহার করার অনেক সুবিধা রয়েছে।
চোখ বন্ধ করে গোসল: আমাদের হাত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গবিন্যাস পর্যবেক্ষণ করতে পারে যা আমাদের চোখ দেখতে পারে না এবং সেই তথ্য মস্তিষ্কে প্রদান করে। মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করার জন্য চোখ বন্ধ করে গোসল করতে পারেন। তবে পানির তাপমাত্রা চোখ খোলা অবস্থায় ঠিক করে নিন।
পরিচিত জিনিসগুলো উল্টে রাখা: আমরা যখন কোনো কিছু উল্টানো অবস্থায় দেখি তখন মস্তিষ্কের মনোযোগ বেড়ে যায় সেই জিনিসটির প্রতি এবং এটি তখন তার আকার, বর্ণ বিশ্লেষণ করতে থাকে। তাই আপনার মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা দিতে চাইলে ঘরে রাখা পারিবারিক ছবি, টেবিলে রাখা ঘড়ি এবং ক্যালেন্ডার উল্টে রাখুন।
খাবার টেবিলের চেয়ার পরিবর্তন: বেশিরভাগ পরিবারে সবার আলাদা আলাদা চেয়ার থাকে যেটাতে বসে খাওয়া হয়। আপনারও থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু নতুন অভিজ্ঞতা আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভালো, তাই আপনার ঘরের খাবার টেবিলের চেয়ারগুলো উল্টিয়ে পাল্টিয়ে বা পরিবর্তন করুন নিজের ইচ্ছামতো।
সুপার মার্কেটে পর্যবেক্ষণ: সুপার মার্কেটে বা অন্যান্য দোকানে অনেক জিনিস সাজানো থাকে কিন্তু আমরা কখনোই তা ভালো করে খেয়াল করি না। মস্তিষ্কের অনুশীলন হিসেবে সময় নিয়ে দোকানে সাজানো সব জিনিসের প্রতি ধীরে ধীরে চোখ বুলান। কি লেখা আছে সেটা পড়ার চেষ্টা করুন। কোনো কিছু কেনার পূর্বে উক্ত পণ্যের গায়ে থাকা তথ্যগুলো ভালো করে পড়ে দেখুন। এমন অনেক পণ্য আছে যা আপনি কিনবেন না কিন্তু মস্তিষ্কের অনুশীলনের জন্য তা পড়ে দেখতে পারেন।
ভিন্নভাবে পড়া: যখন আমাদের পাশে বসে কেউ কিছু জোরে জোরে পড়ে এবং আমরা শুনতে থাকি তখন মস্তিষ্ক তার আলাদা আলাদা অংশ একই সঙ্গে ব্যবহার করে। কিন্তু যখন আমরা নীরবে একা একা পড়ি তখন এটি ঘটে না। তাই নীরবে পড়ার থেকে জোরে পড়ুন। এতে করে মস্তিষ্কের অনুশীলন হবে।
অপরিচিত খাবার খাওয়া: আমাদের মস্তিষ্ক একটি খাবারকে শনাক্ত করে তার গন্ধের মাধ্যমে। এবং এটি সরাসরি মস্তিষ্কের ইমোশনাল সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই এখন থেকে কোথাও খেতে গেলে অপরিচিত খাবার রাখুন খাদ্য তালিকায়। কিছু অপরিচিত খাবারের রেসিপি শিখে নিতে পারেন অন্যদের কাছ থেকে। এতে করে নতুন খাবারের স্বাদও নেওয়া হবে এবং মস্তিষ্কের অনুশীলনও হবে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল