মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী আজ। বিভিন্ন সংগঠন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবে।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের সয়া-ধানগড়া গ্রামে তার জন্ম। তার বাবার নাম হাজী শরাফত আলী খাঁ ও মায়ের নাম মজিরন বিবি। তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে।
মওলানা ভাসানী রাজনীতির আলোক বর্তিকা হাতে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে এর আলো ছড়িয়েছেন। তিনি সারা জীবন সাধারণ মেহনতি মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। বঙ্গবন্ধুও তাকে শ্রদ্ধা করতেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ১১টায় নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। একই সঙ্গে দলের সব মহানগর, জেলা ও শাখা কমিটি স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
দিনটি উপলক্ষে ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সকালে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দরবার হলে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় ও মওলানা ভাসানী স্মৃতিসৌধ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এ সময় মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারতের উদ্দেশে আগত সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং গণজমায়েত পরিহারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে বলা হয়েছে।