তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্থানীয়ভাবে ভেন্টিলেটর (কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার যন্ত্র)উৎপাদন করবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের খ্যাতনামা মেডিকেল ইকুইপমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিক তাদের পিবি ৫৬০ ভেন্টিলেটি তৈরি করার জন্য পেটেন্ট, সোর্স কোড, ডিজাইন, হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার দিয়ে বাংলাদেশের ওয়ালটনসহ আগ্রহী প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রযুক্তিগত সহায়তা করবে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে ভেন্টিলেটর উৎপাদন করতে কি কি প্রযুক্তি বাংলাদেশের প্রয়োজন সেই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয় উদ্ভাবক ও উৎপাদনকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় নিজ বাসভবন থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলকবলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কবে কখন এটির উৎপাদন শুরু হবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিক পর্যায়ে কোন কোন প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কাজ করবে সেটাও এখনো ঠিক করা হয়নি। মেডট্রনিকের প্রযুক্তিগত সহায়তায় প্রাথমিকভাবে ওয়ালটন তার নিজস্ব অর্থায়নে ভেন্টিলেটর উৎপাদন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভেন্টিলেটর উৎপাদনের পর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে তারা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এগুলো বাজারজাত করবে কিনা। সরকার শুধু গাইডলাইন দিয়ে যাবে। আমেরিকান কোম্পানি মেডট্রোনিকের পার্টনারশীপের ফলে দ্রুত উৎপাদন করা সহজ হবে। স্থানীয় প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এবং তরুণ উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনের ধারা আরো গতিশীল করা সম্ভব হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে প্রাথমিক পর্যায়ে যারা সম্মিলিত ভাবে কাজ করবে তাদের মধ্যে ওয়ালটন, মাইওয়ান, মিনিস্টার, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), স্টার্টআপ বাংলাদেশ, মেড ইন বাংলাদেশ, আইডিইএ প্রকল্প,আই ল্যাব ইনোভেশন নামের প্রতিষ্ঠান সমূহ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ওয়ালটনের প্রতিনিধি, মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আই ল্যাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিরা যুক্ত ছিলেন।