ভাসমান আরও ২৮০ রোহিঙ্গাকে পাঠানো হল ভাসানচরে

বঙ্গোপসাগরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাসতে থাকা ২৮০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের ভাসানচরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আল-জাজিরা এমন খবর দিয়েছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদারও শুক্রবার সকালে তাদের ভাসানচরে নেয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জলসীমায় রোহিঙ্গাদের বহনকারী জীর্ণ নৌকাটি দেখা যায়। খবরে বলা হয়, উদ্ধারের সময় এসব রোহিঙ্গাপ্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ছিল। তাদের খাবার ও পানি দেয়া হয়েছে।

এরপর নৌকাটিকে নিয়ে যাওয়া হয় নোয়াখালীর ভাসানচরে। সেখানে গত ৪ মে আরও ২৮ রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয়েছিল।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গণহত্যা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ দিকে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন।

তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার বিরান দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

এ লক্ষ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১০ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সরকার বলছে, রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য সব ব্যবস্থাই ভাসান চরে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে গেলে কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্প জীবনের চেয়ে ভালো থাকবে তারা।

এখন করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সাগরে নৌযান থেকে উদ্ধার রোহিঙ্গাদের কোয়ারেন্টিনের জন্য ওই স্থাপনা ব্যবহৃত হচ্ছে।

কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে জনাকীর্ণ পরিসরে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটলে তা ভয়ানক হয়ে ওঠার ঝুঁকি রয়েছে।

গত সপ্তাহে সাগরে একটি নৌযানে ভাসতে থাকা ২৮ রোহিঙ্গা ও এক বাংলাদেশি দালালকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই চরে এখন বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্কও রয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জলসীমায় রোহিঙ্গাবাহী আরও কোনো নৌযান আছে কি না, সে বিষয়ে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড নজর রাখছে।

পাঁচশর মতো রোহিঙ্গাকে নিয়ে পাচারকারীরা সপ্তাহ দুয়েক আগে ট্রলারে করে মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের ট্রলার সাগরে ভাসছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.