ভারী বৃষ্টিতে সৌদির বিভিন্ন শহরে বন্যা
ভারী বৃষ্টিতে সৌদি আরবের রিয়াদ, মক্কা, জেদ্দা ও মদীনাসহ বিভিন্ন শহরের মহাসড়কে জলাবদ্ধতায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজধানী রিয়াদ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) হয়েছে শিলাবৃষ্টি। আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ভারী বৃষ্টি, বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি এবং ধূলিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।
এ অবস্থায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জারি রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। এছাড়াও দেশটির উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা কমে যাওয়াসহ তুষারপাতের শঙ্কাও করা হচ্ছে।
মুষলধারে বৃষ্টিতে পানি জমে জলাধারে রূপ নিয়েছে রাস্তাঘাট। অনেক জায়গায় রাস্তায় চলাচল করা গাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ায় স্থবিরতা নেমে এসেছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায়। দেখা দিয়েছে যানজট। ভয়াবহ এই বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্যটি মরুর দেশ সৌদি আরবের।
চলমান শৈত্য প্রবাহের মধ্যে মক্কা, মদিনা এবং জেদ্দায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) থেকে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মদিনার বদর আল-শাফিয়াহ অঞ্চলে। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে জেদ্দার আল-বাসাতিন এলাকায়।
বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাতে আকস্মিক বন্যায় জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। মঙ্গলবার জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের সময়সূচী বিলম্বিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মক্কা, মদিনা, আসির, কাসিম, বাহা, তাবুক অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ভারী বৃষ্টি, বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি এবং ধূলিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।
এ অবস্থায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে গাড়িচালক ও সমুদ্র সৈকত গামীদের সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং নিম্নাঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে জনসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছে ক্রাইসিস অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার।
এদিকে বৃষ্টি ছাড়াও দেশটির উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা কমে যাওয়াসহ তুষারপাতের শঙ্কাও করছে সৌদি আরবের আবহাওয়া অফিস। তীব্র শীতে মানুষের ভোগান্তি এড়াতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।