ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত সুস্থ ও সবল আছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সেটি রক্তের সম্পর্ক, এ সম্পর্ক কখনোই দুর্বল হওয়ার নয়। ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাসের সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতীয়রা রক্ত ও আশ্রয় দিয়েছে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে, তা পৃথিবীর আর কোন দেশের সঙ্গে নেই। এ সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।
দু’দেশের কানেক্টিভিটি বাড়াতে নৌপথ অন্যতম একটি মাধ্যম হতে পারে বলে মনে করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের কিছু চুক্তি, প্রকল্প ও কার্যক্রম আছে। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক আছে উল্লেখ করে রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, আমরা কোভিডের মধ্যেও একসঙ্গে কাজ করেছি।
সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই হয়েছে। এখানে ট্রেড ট্রেন চলছে। তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইন ঠিক আছে। এখানে অনেকগুলো চুক্তি হয়েছে। একসঙ্গে অনেকগুলো প্রজেক্ট করেছি। এটি দু’দেশের জন্য উইন উইন অবস্থান। আমাদের ট্রেড বাড়বে। এটাতে বাংলাদেশেরও লাভ হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বিদায়ী হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে জাহাজ চলাচলের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটর প্রসিডিউর (এসওপি) সইয়ের আলোকে ট্রায়াল ইতিমধ্যে হয়ে গেল। এখন বাকিগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তাতে কোন অসুবিধা নেই। সেটা সহজভাবে হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অতি জরুরি চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক ভিসা আমরা দিচ্ছি। এখন আমরা নরমাল ভিসার বিষয়ে চেষ্টা করছি। তবে তা নির্ভর করছে কোভিড ও ফ্লাইট চলাচলের ওপর।