ভাত না রুটি, কোনটিতে কমতে পারে ওজন
বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ দিন দিন বাড়ছে। তাই অনেকেই স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে বা অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন কমাতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন। এর মধ্যে খাদ্যতালিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাঙালিরা বিশেষভাবে ভাবেন, দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে ভাত না রুটি কোনটি বাদ দেওয়া উচিত। দু’টোই প্রধান কার্বোহাইড্রেট উৎস হলেও পুষ্টি, ক্যালোরি ও হজমের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকায় ওজন কমানোর জন্য একটির উপকারিতা অন্যটির চেয়ে বেশি হতে পারে।
পুষ্টির তুলনা:
ভাত ও রুটি দু’টোই কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে। তবে ফাইবার, সোডিয়াম ও ক্যালোরির মাত্রায় এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিশেষত আটার রুটি ভাতের তুলনায় কিছুটা বেশি উপকারী।
রুটির সুবিধা:
উচ্চ ফাইবার: আটার রুটিতে ভাতের চেয়ে বেশি আঁশ থাকে।
দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে: ফাইবার হজম হতে সময় নেয়, ফলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না এবং কম ক্যালোরি গ্রহণ হয়।
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স: রুটিতে শর্করার বৃদ্ধি ধীর হয়, ফলে চর্বি জমার সম্ভাবনা কমে।
কম ক্যালোরি: সমপরিমাণ ভাতের তুলনায় রুটিতে ক্যালোরি কম থাকে।
কখন ভাত খাওয়া যায়:
ওজন নিয়ন্ত্রণের সময়ও ভাত খাওয়া সম্ভব, তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সাদা ভাতের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস বা লাল চাল খাওয়া ভালো, কারণ এতে ফাইবার ও পুষ্টি বেশি।
পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ: ভাতের পরিমাণ সীমিত রাখা জরুরি।
সঠিক কম্বিনেশন: ভাতের সঙ্গে সবজি ও প্রোটিন (ডাল বা মাছ) রাখলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমে এবং পেট দীর্ঘসময় ভরা থাকে।
স্বাস্থ্য এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে শুধু ভাত বা রুটি বেছে নেওয়া যথেষ্ট নয়। ক্যালোরি ও খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আটার রুটি বা ব্রাউন রাইসকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এছাড়া প্রক্রিয়াজাত চিনি, অতিরিক্ত ফ্যাট এবং অতিরিক্ত খাবারের পরিমাণ সীমিত রাখা জরুরি।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.